News Desk : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধনে একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। এর সেই প্রকল্পের অন্তর্গত হলো দুয়ারে সরকার প্রকল্প। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা যাতে রাজ্যবাসীর নাগালে পৌঁছে যায়, সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালাচ্ছে। গোটা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি ব্যাপক সারা ফেলেছে। এমনকী বাইরের রাজ্যেও এই কর্মসূচি নিয়ে চর্চা হয়। ভাতা থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষ এখানে আবেদন জানাতে পারেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপর একটি সরকারি কর্মসূচির ঘোষণা করলেন, যার নাম দিয়েছেন ‘জনসংযোগ কর্মসূচি’।
কতদিন চলবে প্রকল্প?
দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েও যাদের কাজ হয়নি, মূলত তাদের জন্য রাজ্য সরকার এই বিশেষ সুবিধা আনছে। এই জনসংযোগ কর্মসূচির ক্যাম্পে রাজ্যবাসী নিজেদের সমস্যা বা অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নতুন জনসংযোগ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন। তিনি জানান যে, এবার রাজ্য সরকার পৌঁছে যাবে মানুষের পাড়ায় পাড়ায়। দুয়ারে সরকার যেমন চলছে তেমন করেই চলতে থাকবে। আর এর পাশাপাশি মানুষের সমস্যার সমাধানে সরকারকে পাড়ায় পৌঁছে দিতে চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২০শে জানুয়ারি থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি পোলিং স্টেশন অনুযায়ী এই পাড়ায় সমাধান নামক নতুন কর্মসূচি চলবে। প্রতিটি পোলিং স্টেশনে তিন জন করে সরকারি আধিকারিককে বসবেন। সাধারণ মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে সেই আধিকারিকদের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
কী কারণে এই কর্মসূচির ঘোষণা করছে রাজ্য সরকার?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘অনেকে ব্লকে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে পারেন না। দুয়ারে সরকারে হয়ত গেছেন, কিন্তু কাজটা হয়নি। নীচুতলায় কিছু লোক তো আছে, আপনারা জানেন। উপর তলায় যেমন একাংশ আছেন, নীচু তলাতেও একাংশ আছেন। কাজ না করে মানুষকে বার বার করে ঘোরান। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই পাড়ায় পাড়ায় সমস্যা সমাধানের জন্য পাড়ায় সমাধান প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পোলিং স্টেশন অনুযায়ী তিন জন করে অফিসার বসবেন।’
কী কী সুবিধা মিলবে এই প্রকল্পে?
সরকারি ভাবে এই কর্মসূচির নাম হতে চলেছে ‘জনসংযোগ প্রকল্প’। কারো কোনো শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ থাকলে তিনি এখানে জানাতে পারবেন। আর তাছাড়া রেশন, কৃষক ভাতা কিংবা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কোনো সমস্যা হলেও এখানে এসে জানানো যাবে। মৎস্যচাষীদের মৃত্যুতে যে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, তা পেতে তার পরিবার এখানেই নাম লেখাতে পারবেন। এমনকি এখানে পরিযায়ী শ্রমিকরাও নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার প্রতিশ্রুতি দেন যে, রাজ্য সরকার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলার সবার ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেবে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।