News Desk: ডিজিটাল যুগে মানুষ এখন ক্যাশ দিয়ে কেনাকাটার বদলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনলাইন পেমেন্টের। বেশি দামের জিনিস কেনা মানেই ইএমআই করে অনেকেই। আর তখন স্মরণাপন্ন হয় ক্রেডিট কার্ডের। আবার যেকোনো পেমেন্টের ক্ষেত্রেও অনেকেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। দৈনন্দিন চাহিদা আর আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে ক্রেডিট কার্ড অনেকেরই জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে গেছে। ক্রেডিট কার্ডের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে। অনেকেই একের বেশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। একটি ক্রেডিট কার্ড থাকলে অসুবিধে নেই, তবে যদি আপনার কাছে একাধিক ক্রেডিট কার্ড থাকে তাতে কিন্তু খানিক অসুবিধে রয়েছে। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধেগুলি।
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাগুলি কী কী?
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোনো জিনিস কিনলে সেই জিনিসের ওপর ছাড় পাওয়া যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ক্যাশব্যাকও পাওয়া যায়। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিল পেমেন্ট করতে পারা যায়। এমনকি ইএমআই-এর মাধ্যমে কিছু কিছু করে টাকা পরিশোধ করা যায়। এমনকি ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রয়োজনের সময় নগদ টাকা তুলতেও পারা যায়। এবার জেনে নিন অসুবিধেগুলি সম্পর্কে।
একাধিক ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধাগুলি কী কী?
প্রতিটি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক চার্জ আলাদা আলাদা হয়। একাধিক ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্টের তারিখ আলাদা এবং ইন্টারেস্ট রেটও আলাদা। তাই সব কার্ডের তথ্য রাখা সম্ভব হয় না এবং সামান্য ভুলও আপনার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। সময় মতো প্রতিটি ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে হয়, নাহলে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদের বোঝা চাপতে পারে আপনার উপর। বিপদে পড়লেও ক্রেডিট কার্ড থেকে নগদ টাকা তোলা যায় না। সেক্ষেত্রে সুদ চাপতে পারে অনেক বেশি। আপনার কাছে যদি ক্রেডিট কার্ড থাকে অথচ আপনি তা ব্যবহার না করেন তাহলে আপনার প্রোফাইলে এটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে ক্রেডিট স্কোর কমে যায়। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। আবার ক্রেডিট লিমিটও কমে যায়। এমনকি আপনার উপর নজর রাখতে পারে আয়কর দফতর।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অবশ্যই মেনে চলুন এই বিষয়গুলি
ক্রেডিট কার্ডের বিলের উপর যে চার্জ এবং বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখের কথা খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক চার্জ যেহেতু আলাদা, তাই এই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি ক্রেডিট কার্ড একটি নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত কেনাকাটায় ছাড় দেয়। তার বেশি যদি কেনাকাটা হয়, তবে আর ছাড় পাওয়া যায় না। সেইদিক খেয়াল রাখতে হবে। সময়মতো ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে হবে। নাহলে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ চার্জ করা হয়।