News Desk : ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কোনো সহজ কাজ নয়। সাধারণত এই পরীক্ষায় পাশ করতে পরীক্ষার্থীদের বছরের পর বছর লেগে যায়। অনেকেই এই পরীক্ষায় বারংবার চেষ্টা চালিয়েও অসফল হন। এই পদে নিয়োগ পেতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সারাদেশে সরকারি পদে নিয়োগের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেও এসব পদে নিয়োগ পান মাত্র কয়েকজন। মানুষ বহু বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেন, তবে গিয়ে পান সাফল্য। তবে, অনেক প্রতিভাবান মানুষ আছেন, যারা এই কঠিন পরীক্ষায় তাদের চূড়ান্ত অধ্যবসা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রথমবারেই উত্তীর্ণ হন।
হয়েছেন বাধার সম্মুখীন
আজ আমরা আপনাদের এমনই একজন আইএফএস অফিসারের সম্পর্কে বলতে চলেছি, যিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে ইউপিএসসির মতো কঠিন পরীক্ষায় পাশ করে হয়েছেন IFS অফিসার। আমরা কথা বলছি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা তমালি সাহা সম্পর্কে। আসুন জেনে নেওয়া যাক তার জীবনের সাফল্যের গল্পটি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা তমালি সাহ। উত্তর চব্বিশ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস হওয়ার কারণে তমালি ছোট থেকে একাধিক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন, তবে হাজার প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এই বঙ্গ কন্যার মনে ছোট থেকেই আশা ছিল তিনি একদিন দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হবেন।
২৩ বছর বয়সে প্রথম প্রচেষ্টায় ইউপিএসসি পাশ
তিনি স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে স্নাতক করতে কলকাতায় আসেন। সেখানে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তমালির লক্ষ্য ছিল ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। এই কারণে তিনি ২০২০ সালে স্নাতক হওয়ার পর থেকেই ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এরপর তিনি তার অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা প্রথম প্রচেষ্টাতেই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইউপিএসসি ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম প্রচেষ্টাতেই ৯৪তম স্থান অর্জন করেন তিনি এবং ২০২১ সালে মাত্র 23 বছর বয়সে একজন IFS অফিসার হয়েছিলেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে UPSC-এর মতো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে IFS অফিসার হয়েছেন।
সকলের কাছে অনুপ্রেরণা
মনে যদি থাকে জেদ ও একাগ্রতা তাহলে সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সেই স্বপ্নকে ছোঁয়া সম্ভব। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ হরণ হলো বঙ্গতনয়া তমালি সাহা। তিনি দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী। রূপে লক্ষ্মী গুণী সরস্বতী কথাটা তমালি সাহার ক্ষেত্রে খুব খাটে। তিনি তাঁর সৌন্দর্যেও মাত করেছেন বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেত্রীকে। প্রথম চেষ্টাতেই মাত্র ২৩ বছর বয়সে এই সাফল্য পেয়ে অনন্য নজির গড়েছেন তিনি। তমালি প্রমাণ করেছেন ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা তমালির সাফল্য বহু বাংলার সন্তানদের মনে আশা যোগাবে। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের IFS অফিসার পদে কর্মরত। তার এই সাফল্য এখন সকলের কাছে অনুপ্রেরণার বিষয়।