News Desk : আপনি যদি আপনার লক্ষ্য স্থির রাখেন, তবে যেকোনো অসম্ভবকেই সম্ভব করা সম্ভব। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে গেলে সেই কাজে সাফল্য অবশ্যই পাওয়া যায়। পথ চলতে মানুষকে অনেক বাধারই সম্মুখীন হতে হয়, কিন্ত তাতে ভেঙে পড়তে নেই। যদি ইচ্ছে শক্তি হয় প্রবল, তবে আর কোনো বাধাকেই বাধা মনে হয় না। আমরা সবাই জানি যে, ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সহজ কথা নয়, তবে অনেক শিক্ষার্থী তাদের কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক কৌশল অবলম্বন করে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। চূড়ান্ত অধ্যবসা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যায়।
সাফল্য পেতে থাকতে হবে অদম্য জেদ ও একাগ্রতা
এই পদে নিয়োগ পেতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সারাদেশে সরকারি পদে নিয়োগের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেও এসব পদে নিয়োগ পান মাত্র কয়েকজন। মানুষ বহু বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেন। অনেকেই এই পরীক্ষায় বারংবার চেষ্টা চালিয়েও অসফল হন। বারবার পরাজিত হলেও ফের হাল না ছেড়ে এগিয়ে যেতে হয়। তবে, মনে যদি থাকে অদম্য জেদ ও একাগ্রতা তাহলে সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সেই স্বপ্নকে ছোঁয়া সম্ভব। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন আইএএস অফিসার মহম্মদ আলি সিহাব।
দারিদ্রতা ছিল নিত্যসঙ্গী
মহম্মদ আলি সিহাব ১৯৮০ সালের ১৮ই মার্চ কেরলের মলপ্পুরম নামের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রতাকে নিত্যসঙ্গী করে দিন কাটতো তাঁর। অভাবের সংসারে তাঁর বাবার সঙ্গে বিক্রি করতেন বাঁশের তৈরি ঝুড়ি। আবার কখনো পান ফেরি করে বেড়াতেন। আর এই ভাবেই চলতো তাঁদের সংসার। তিনি হাল না ছেড়ে চালিয়ে গেছেন নিজের পড়াশোনা। এরপর তাঁর বাবার মৃত্যুর হলে একদিন বাধ্য হয়েই তাঁর মা নিজের সন্তানদের কোঝিকোর নামক একটি অনাথ আশ্রমে রেখে আসেন। আর এরপরই শুরু হয় তাঁরা এক নতুন যুদ্ধ।
তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফল
১০ বছর আশ্রমে থাকতেই তিনি একজন আইএএস অফিসার হবার লক্ষ্য স্থির করেন। এরপর থেকেই তিনি শুরু করেছিলেন ইউপিএসসির প্রস্তুতি। তিনবার তাঁকে পরীক্ষায় বসতে হয়েছিলো। আর তারপরেই সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হন তিনি। ২২৬ নম্বর স্থান অধিকার করেন। বর্তমানে তিনি নাগাল্যান্ডের কোহিমার একজন আইএস অফিসার পদে আসীন। তাঁর এই সাফল্য এখন সকলের কাছে অনুপ্রেরণা।