News Desk : কথায় বলে চেষ্টা থাকলে যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। ইউপিএসসি পরীক্ষা হলো সব থেকে কঠিনতম পরীক্ষা, যা পাস করতে অনেকেরই বছরের পর বছর সময় লেগে যায়। অনেকে প্রথম প্রচেষ্টাতে সফল হন, আবার কেউ কেউ বারংবার পরীক্ষা দিয়েও সফলতা পান না। তবে, আজ আমরা যার কথা বলতে চলেছি, তিনি চার বার ব্যর্থ হওয়ার পরও হাল না ছেড়ে পঞ্চম প্রচেষ্টায় হয়েছেন সফল এবং আজ তিনি একজন আইএএস অফিসার।
পঞ্চম প্রচেষ্টায় সফল
আমরা কথা বলছি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা সুমিত কুমার রাইয়ের সম্পর্কে। তিনি পরপর চারবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও হাল ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত তিনি পঞ্চম প্রচেষ্টায় ৫৪তম স্থান নিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আজ তিনি হয়েছেন আইএএস অফিসার। সুমিতের ইউপিএসসি যাত্রা সহজ ছিল না। সুমিতকে একবার-দুইবার নয়, চারবার ব্যর্থতার মুখে পড়তে হয়েছে। এমন একটি সময় এসেছিল, যখন তিনি বিষণ্ণ বোধ করতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু কোনোরকমে তিনি নিজেকে ভেঙে পড়তে দেননি। অবশেষে, পঞ্চম প্রচেষ্টায় ৫৪তম স্থান নিয়ে শীর্ষে ছিলেন। তিনি তাঁর চাকরির পাশাপাশি এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
৫৪তম স্থান নিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
সুমিত বলেন, তিনি প্রতিদিন ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠতেন। অফিসে যাওয়ার আগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। এরপর অফিস থেকে আসার পর পড়াশুনা করতেন। ইউপিএসসির মতো পরীক্ষার জন্য এত বছর প্রস্তুতি নেওয়া সহজ নয়। বারংবার ব্যর্থতার পরেও ধৈর্য না হারিয়ে তিনি প্রস্তুতি চালিয়ে গেছেন এবং অবশেষে তিনি তাঁর পরিশ্রমের সুফল পেয়েছেন। ২০১৮ সালে তিনি ইউপিএসসির পরীক্ষায় ৫৪তম স্থান অর্জন করে উত্তীর্ণ হন। এই পুরো যাত্রায় সুমিতের কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য প্রশংসনীয়।
সুমিত কী বলেছেন?
সুমিত বলেন যে, সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে অনেক কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা প্রয়োজন। নাহলে এই পরীক্ষায় সফল হওয়া যায় না। বই নিয়ে খুব বেশি বিভ্রান্ত হলে চলবে না, শুধু সঠিকভাবে পড়তে হবে এবং বারবার ভুল সংশোধন করতে হবে। হতাশায় আচ্ছন্ন মানুষদের থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন, নাহলে জীবনে এখনো সম্ভব নয়। এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সবাই বিষণ্ণ বোধ করে, কারণ এটি একটি খুব দীর্ঘ যাত্রা, তবে চেষ্টা করলে সব বাধায় পেরোনো সম্ভব। আপনি যদি সঠিক কৌশল এবং আন্তরিকভাবে প্রস্তুতি নেন, তবে আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন।