Sukanya Smridhi Yojna: সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা সম্পর্কে কম বেশি সকলেই জানেন। আপনার বাড়িতে যদি ১ থেকে ১০ বছর বয়সী কন্যা সন্তান থাকে, তাহলে আপনি কেন্দ্র সরকারের এই স্কিমের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। কেন্দ্র সরকার চলতি বছর এই স্কিমে সুদের হার বাড়িয়েছে। আপনি যদি আপনার কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হন, তাহলে কেন্দ্র সরকারের সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় টাকা জমাতে পারেন। এই স্কিমের আওতায় টাকা জমালে, পরবর্তীতে আপনার কন্যা সন্তানের উচ্চশিক্ষার এবং বিবাহের জন্য মোটা টাকা লাভ করতে পারবেন। আজ আমরা সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা সম্পর্কে আপনাদের বলতে চলেছি। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টের সুবিধা :
১)২০ টাকা দিয়ে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট – আপনি প্রতি মাসে মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে অর্থাৎ বছরে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা দিয়ে আপনার মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
২) মিলবে সর্বাধিক সুদের হার – কেন্দ্র সরকারের পোস্ট অফিসের অন্যান্য সকল স্কিমগুলির মধ্যে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক সুদ মিলবে। আগে এই স্কিমে সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ, কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র সরকার এই স্কিমে সুদের হার ০.২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে গ্রাহকদের ৮.২০ শতাংশ সুদ দিচ্ছে।
৩) ম্যাচুরিটিতে মিলবে ৫০ লক্ষ টাকা – সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (Sukanya Smridhi Yojna) অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা করে জমা করলে, ম্যাচুরিটির সময় আপনি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পাবেন এবং বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা জমা করলে, ম্যাচুরিটিতে মোট ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন:- আপনি কি জানেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম? না জানলে জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
৪) উচ্চশিক্ষা এবং বিয়ের জন্য টাকা তোলা – সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টের ম্যাচুরিটির সময়কাল হলো ২১ বছর। তবে, আপনি আপনার মেয়ের বিয়ে কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৮ বছরের পরেই ৫০ শতাংশ টাকা তুলতে পারবেন এবং বাকি টাকা ম্যাচুরিটির সময় পাবেন।
৫) মিলবে আয়কর ছাড় – কেন্দ্র সরকারের সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টে আয়কর ধারার 80C এর অধীনে আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে। আগে শুধুমাত্র একটি কন্যা সন্তানের জন্যই এই ছাড় পাওয়া যেত, তবে পরবর্তীতে এই নিয়ম পরিবর্তন করে জমজ কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছে।