How To Become ED Officer : ইডি (ED) নামটির সাথে বর্তমানে কমবেশি সকলেই পরিচিত। এখন হরদম ইডি সম্পর্কিত খবর নিউজ চ্যানেলে দেখা যায়। ইডি এর পুরো অর্থ হলো এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ইডি হলো ভারতের কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ মিনিস্ট্রি অফ ফাইন্যান্সের (Ministry of Finance) এর আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা, যা প্রতিষ্টিত হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১লা। আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই তদন্তকারী দফতরের ভূমিকা অনবদ্য। এখন অনেকেই চান ইডি অফিসার হতে, তবে ইডি অফিসার হতে গেলে কী করতে হবে, যোগ্যতা কী লাগবে এসব বিষয়ে অনেকেই জানেন না। তাই আপনাদের জন্য আজ আমরা এই বিষয়ে সকল তথ্য আলোচনা করতে চলেছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক (How To Become ED Officer)।
ইডি এর কাজ কি ?
ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা আধিকারিকরা মূলত আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলার তদন্ত করেন। কোনো আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যক্তির বাড়ি কিংবা অফিসে হানা দিয়ে কালো টাকা বা হিসেবে বহির্ভূত টাকা উদ্ধার করা, Foreign Exchange Management আইনের লঙ্ঘন, টাকার লেনদেন বিষয়ক তদন্ত, FEMA আইনের লঙ্ঘনে দোষীদের সম্পত্তিকে বাজেয়াপ্ত, দেশের বাইরে কেনা সম্পত্তির তদন্ত, Foreign Exchange সম্পর্কিত মামলার তদন্ত করাই হলো ইডি এর কাজ।
ইডি এর দপ্তর কোথায় কোথায় অবস্থিত ?
দিল্লীতে রয়েছে ইডি এর প্রধান কার্যালয়, এছাড়া কলকাতা, দিল্লী, চেন্নাই, মুম্বাই ও চণ্ডীগড় প্রভৃতি এই পাঁচটি শহরে ইডির কার্যালয় রয়েছে।
যোগ্যতা
ইডি হওয়ার জন্য প্রার্থীকে যেকোনো সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হবে। এমনকি প্রার্থীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। ধূর্ত স্বভাব ও যুক্তি তর্কের মাধ্যমে মানুষকে বোঝার দক্ষতাও থাকতে হবে।
বেতন
একজন ইডি অফিসারের বেতন প্রতিমাসে ৬০,০০০ টাকা। পরবর্তীকালে বেতন বৃদ্ধি হয়।
বয়স
ইডি অফিসার হতে গেলে প্রার্থীর বয়স ২০ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে হতে হবে। তফশিলি জাতি এবং উপজাতিরা বয়সের ক্ষেত্রে ৫ বছর এবং O.B.C-রা বয়সের ক্ষেত্রে ৩ বছর ছাড় পাবেন। তবে, PWD শ্রেণীর প্রার্থীরা এই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
নিয়োগ পদ্ধতি
ইডি অফিসার পদে (How To Become ED Officer) নিযুক্ত হওয়া যায় SSC CGL (Combined Graduate Level Exam) এর মাধ্যমে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের যেকোনো অফিসার পদোন্নতির মাধ্যমে ইডি আধিকারিক হতে পারেন। মোট চারটি ধাপে SSC CGL পরীক্ষা হয়, যেমন Tier-1 পরীক্ষা (২০০ নম্বর), Tier-2 পরীক্ষা (১০০নম্বর), Document Verification (নথিপত্র যাচাইকরণ)।
