News Desk : রেশন নিয়ে হাজারো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই রেশন বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান প্রমুখ। এবার দেশজুড়ে রেশন বণ্টনে সমস্যা নিয়ে নতুন বছরের প্রথমদিন অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রেশন ডিলাররা। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন, অনির্দিষ্টকালের রেশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্পর্ণ বিষয়টি বিস্তারে।
ভোগান্তির আশঙ্কা ৮০ কোটির বেশি গ্রাহকের
আজ অর্থাৎ ২রা জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রেশন দোকান। দেশজুড়ে বন্ধ থাকবে প্রায় ৫ লক্ষের বেশি রেশন দোকান এবং রাজ্যে বন্ধ প্রায় ১৭ হাজারের বেশি রেশন দোকান। এই রেশন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ৮০ কোটির বেশি গ্রাহকের। রেশন ডিলারদের অভিযোগ, কেন্দ্র-রাজ্য দায় ঠেলাঠেলির জেরে তারা ভুগছেন। তাদের দাবি, ন্যূনতম আয় সুনিশ্চিতকরণ এবং এর পাশাপাশি কমিশন বৃদ্ধি।
শুরু হয়েছে ধর্মঘট
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৯শে ডিসেম্বর খাদ্য দফতরের সামনে রেশন ডিলাররা তাদের দাবি আদায়ের জন্য গেছিলেন। এরপর ১লা জানয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে রেশন ধর্মঘট। তবে প্রতি সোমবার বা মাসের প্রথম দিন এমনিতেই রেশন দোকান বন্ধ থাকে। তাই আজ থেকেই কার্যকরীভাবে ধর্মঘট শুরু হলো। এরপর আগামী ১৬ই জানুয়ারি দিল্লিতে তাদের কর্মসূচি রয়েছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন ওই দিন সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছে।
রেশন ডিলাররা কী বলছেন?
রেশনে বিনামূল্যে চাল সহ অনেক জিনিস পাওয়া যায়।অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট চললে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষরা। রেশন ডিলারদের অভিযোগ, করোনাকালের সময় থেকে দেশের রেশন ডিলাররা কমিশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। রেশনে ১ কুইন্টাল চাল বা গম গ্রাহকদের হাতে তুলে দিয়ে তারা এখন ৯৫ টাকা কমিশন পান। বিভিন্ন কমিটির সুপারিশে যা ৪৫৭ টাকা করার কথা, কিন্তু কেন্দ্র এখনো পর্যন্ত কোনো সুপারিশ কার্যকর করেনি। রেশন ডিলারদের বক্তব্য, দেশে ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে ৮০ কোটি রয়েছেন রেশনের আওতায়। হয়তো এই বিপুল সংখ্যক মানুষের সাময়িক সমস্যা হবে, তবে শেষমেশ লাভ হবে সকলেরই। এই কারণেই এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা। সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘যত দিন না রেশন ডিলারদের মাসিক ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা আয় সুনিশ্চিত হচ্ছে, অতিরিক্ত কোনো খরচের বোঝা নেওয়া সম্ভব নয়।”