PadhAI app UPSC prelims: বর্তমানে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট সর্বত্র। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাদের কাদের চাকরি খাবে তা নিয়ে আলোচনা জোরালো হয়েছিল বছরের শুরুতে, তবে দিন যত এগিয়েছে, ততই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এবার কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইএএস বা অন্যান্য ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবাগুলির মতো লোভনীয় সরকারি চাকরিতেও ভাগ বসাবে? আসলে ভারতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক ‘PadhAI’ অ্যাপ, ২০২৪ সালের ইউপিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বসে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
এই অ্যাপ পেয়েছে ১৭০-এর বেশি নম্বর
ভারতের সবথেকে কঠিন চাকরির পরীক্ষাগুলির একটি হলো ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। এতে ২০০-র মধ্যে ১০০ পেলেই যোগ্যতা অর্জন করা যায়। আর এই অ্যাপ পেয়েছে ১৭০-এর বেশি নম্বর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই অ্যাপটি পুরো প্রশ্নপত্রটির সমাধান করতে সময় নিয়েছে মাত্র সাত মিনিট। এর অবিশ্বাস্য গতি এবং নির্ভুলতার সঙ্গে উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা সকলকে অবাক করেছে। PadhaI-এর সিইও কার্ত্তিকেয় মঙ্গলম জানিয়েছেন, গত ১০ বছরের মধ্যে ইউপিএসসি পরীক্ষায় এত বেশি নম্বর কেউ পায়নি (PadhAI app UPSC prelims)।
ভারতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক ‘PadhAI’ অ্যাপ
আইআইটির কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক PadhaI অ্যাপটি তৈরি করেছেন। এটি হল একটি এআইভিত্তিক শিক্ষামূলক অ্যাপ, যার লক্ষ্য হলো ইউপিএসসি এবং আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিপ্লব ঘটানো। এটি মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স আপডেট, কুইজ, ইউপিএসসি গেমস এবং একটি এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে রিয়েল-টাইমে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান করা এবং সহায়তা প্রদান করার মতো পরিষেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি সংক্ষেপে সংবাদ, আগের বছরের প্রশ্নপত্র, বইয়ের সারাংশও এই অ্যাপে পাওয়া যেতে পারে।
অ্যাপ সংস্থাটির সিইও কী বললেন?
ইউপিএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল নয়া দিল্লির ‘দ্য ললিত’ হোটেলে। অ্যাপটি (PadhAI app UPSC prelims), ইউপিএসসি-র সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং সংবাদমাধ্যমের কড়া নজরের সামনে পরীক্ষা দিয়েছে। প্রশ্নপত্রের সমাধান করাকে লাইভ-স্ট্রিম করা হয়। এই লাইভ ইভেন্টটি livestream.padhai.ai এবং YouTube-এ রয়েছে। এই অ্যাপ সংস্থাটির সিইও কার্ত্তিকেয় মঙ্গলম বলেছেন, “আমাদের ইভেন্টটি প্রথম হলেও, আমাদের মতে, কয়েক বছরের মধ্যে এই ধরনের ঘটনাগুলি অত্যন্ত সাধারণ হয়ে উঠবে। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এআই-এর মাধ্যমে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে প্রশ্নপত্রের সমাধান করার প্রতিযোগিতায় রয়েছে।”