Lakshmir Bhandar : রাজ্য সরকার মানুষের উপকারের জন্য সময় সময় নানান প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যেমন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভান্ডার, আরো কত কি। মহিলাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে সরকার চালু করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) নামক প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয় সরকারের তরফ থেকে, আবার তফসিলি জাতির ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়। যদি আপনি এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এবার আপনি হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি। কী অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হলেও একথা সত্যি। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়েই আলোচনা করতে চলেছি। এবার আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক যে, লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রাপ্ত টাকার মাধ্যমে আপনি কীভাবে হয়ে উঠবেন কোটিপতি।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা জমিয়ে কোটিপতি
পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের আওতায় ১০০০ টাকা করে প্রতিমাসে পেয়ে থাকেন। যদি আগে এর পরিমাণ ছিল ৫০০ টাকা, তবে গত কয়েক মাস আগে সরকার এর অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে করেছে ১০০০ টাকা। ২৫ বছর বয়স থেকে রাজ্যের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এখন তারা যদি এই টাকা খরচ না করে একটি ভালো মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) স্কিমে এসআইপি করেন এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সেই টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে অনায়াসেই হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি, কারণ ২৫ থেকে ৬০ অর্থাৎ টানা ৩৫ বছর ধরে আপনি মোট ৪,২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন, আর ওই মিউচুয়াল ফান্ডে যদি বার্ষিক গড় ১৪ শতাংশ রিটার্ন পান, তবে আপনার জমাকৃত অর্থের উপর আপনি প্রায় ১,৪৪,৪০,৬৪৫ টাকা সুদ পাবেন। এর অর্থ হলো আপনার ৬০ বছর পূর্ন হবার পর আপনি মোট ১,৪৮,৬০,৬৪৫ টাকা রিটার্ন পাবেন। এইভাবে আপনি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা জমিয়ে সহজেই হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি।
এখন আপনি যে মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করবেন, সেখানে যদি ১৪ শতাংশ রিটার্ন না পান, তবে হয়তো আপনি কোটিপতি হতে পারবেন না, কিন্তু আপনার লাখপতি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। তাই খুব জরুরি হলো একটি ভালো মিউচুয়াল ফান্ড নির্বাচন করে সেখানে অর্থ বিনিয়োগ করা। অনেকের পরিবারের আর্থিক পরিস্তিতি খারাপ হওয়ায় এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ ১০০০ টাকা তারা সঞ্চয় করতে পারেন না। কোনোমতে যদি ৫০০ টাকা হলেও তারা বাঁচিয়ে বিনিয়োগ করেন, তাহলেও খুব সহজেই লাখপতি হয়ে ওঠা সম্ভব।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা মনে রাখবেন এখানে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন, তবেই আপনি এখানে বিনিয়োগ করুন, নচেৎ না। মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘ্যমেয়াদী বিনিয়োগ ছাড়া আপনি চক্রবৃদ্ধি হারের সুবিধা পাবেন না, তাই আপনাকে দীর্ঘ্য সময়ের জন্য বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে হবে। এমনকি আপনি চাইলে প্রকল্পের ১০০০ টাকাকে ২ ভাগে ভাগ করে অর্থাৎ ৫০০ টাকা করে ২টি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর ফলে আপনার ততটাও ভয় থাকবে না অর্থক্ষতির।