Government Scheme : বর্তমান যুগে যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে তাতে করে কেবলমাত্র একটি চাকরির উপর ভরসা করেই মানুষের জীবন যাপন করা কঠিন। তাই অনেকেই চাকরির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতে চান। বেকারত্বের হার বাড়ছে। এই কারণে চাকরি না পেয়ে আবার অনেকেই ব্যবসা করার জন্য পরিকল্পনা করে থাকেন, কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে যে পুঁজির প্রয়োজন হয়, তা অনেকের কাছেই থাকে না, আবার অনেকে ভেবে উঠতে পারেন না যে, কোন ব্যবসাটি করলে লাভ মিলবে। এর ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ব্যবসা করা থেকে পিছিয়ে আসেন। তবে, এবার ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে বিশেষ সহযোগিতা করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আসলে, রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য দারুন সব স্কিমের সুবিধা দেওয়া হয়, যা গ্রহণ করে কৃষক এবং এফপিসি, এফপিও নানাভাবে উপকৃত হতে পারবেন (Government Scheme)।
সরকারি তরফের বিশেষ সুবিধাগুলি কোন ব্যবসা করলে দেওয়া হবে?
উদ্যানপালন উন্নয়ন মিশনের প্রকল্প অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি বিশেষ ব্যবসার জন্য ব্যবসায়ীরা সরকারের তরফ থেকে অনুদান পাবেন। আজ আমরা পাঁচটি ব্যবসার কথা বলতে চলেছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক (Government Scheme)।
১) যদি কৃষকরা মশলা চাষ করেন, তবে সেক্ষেত্রে তারা একটি বিশেষ সুবিধা পাবেন সরকারের তরফ থেকে। কৃষকদের এই প্রকল্প শুরু করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ন প্রকল্পের খরচের ৪০ শতাংশ হিসেবে সর্বাধিক ১২০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেবে সরকার, যা প্রতি হেক্টর জমি হিসাবে দেওয়া হবে।
২) যদি আবার কোনো ব্যক্তি একটি ফলের প্যাকিং হাউস খুলে তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান, সেক্ষেত্রেও তিনি পাবেন সরকারি অনুদান। প্রার্থীরা ৯ মিটার × ৬ মিটারের একটি ফলের প্যাকিং হাউসে খরচের ৫০ শতাংশ অনুদান পাবেন সরকারের কাছ থেকে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, প্রতি প্যাক হাউ সের জন্য এই অনুদান পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা হলো ২ লক্ষ টাকা।
৩) কেউ যদি ৮ হর্স পাওয়ার বা তার থেকে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার টিলার নেন, তবে সেক্ষেত্রেও সরকারি সহায্য পাবেন তিনি। আর এক্ষেত্রে মোট খরচের ৪০ শতাংশ অনুদান মিলবে সরকারি তরফে, যার সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রতি ইউনিটে ৭৫০০০ টাকা।
৪) যদি কম খরচে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তবে সরকার সেক্ষেত্রে ২৫ মেট্রিক টন হিসাবে আর্থিক অনুদান দেবে। কৃষকদের এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ খরচের অর্ধেক টাকা অনুদান হিসাবে দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে কৃষকরা প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৮৭৫০০ টাকা করে পাবেন সরকারের তরফ থেকে।
৫) গ্রাহকরা গ্রিন হাউজ ঘর তৈরি করলে সরকারি অনুদান পাবেন। এক্ষেত্রে মোট প্রকল্প খরচের ৫০ শতাংশ টাকা সরকারি অনুদান হিসেবে মিলবে। সরকারের তরফ থেকে প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৫৩০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। এই কাজ করে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৪ হাজার বর্গমিটারের জমিতে সরকারি অনুদান পাবেন।