ICDS Recruitment 2024 : জেনে নিন একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকা মধ্যে পার্থক্য, বেতন, উভয়ের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত

Published On:

ICDS Recruitment 2024 : লোকসভা ভোটের পর থেকে নানান কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, যা বেকার চাকরি প্রার্থীদের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। এর আগে আমরা জানিয়েছি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি। তবে, আজ আমরা বলতে চলেছি অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মধ্যে পার্থক্য কী এবং প্রার্থীরা কীভাবে সহায়িকা পদ থেকে কর্মী পদে পদোন্নতি করতে পারবেন? বেতন এবং সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য।

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকার কাজ কী?

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী – প্রথমেই বলি একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর প্রধান কাজ হলো গ্রামীণ শিশু সাহায্য কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের অধীনে শিশুদের পর্যাপ্ত এবং সঠিক মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহ করা, উন্নত মানের জলের সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং উপযুক্ত বয়সে টিকাকরণের দেখভাল করার পাশাপাশি অনেক অফিশিয়াল কাজও করতে হয় খাতা পত্রের কাজও করতে হয় একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে।

অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা – একজনঅঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার কাজ হলো অঙ্গনওয়াড়ি শিশুদের স্বাস্থ্য দেখভাল করা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বিভিন্ন কাজে যথাসাধ্য সাহায্য করা। এর পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে অফিশিয়াল কাজেও সাহায্য করতে হয়।

চাকরিপ্রার্থীদের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা সহায়িকা পদে যোগদান করার কারন কী?

বাড়ির কাছাকাছি ব্লকে পোস্টিং হওয়ার কারণে অধিকাংশ প্রার্থীরা এই পদে যোগদান করেন। এরফলে সংসারের কাজ সেরে প্রার্থীরা চাকরি করতে পারবেন বলেই এই পদে যোগদান করেন।

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকার বেতন কত (ICDS Recruitment 2024)?

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মাসিক বেতন ৯০০০ টাকা এবং একজন অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার মাসিক বেতন ৭৫০০ টাকা।

কীভাবে সহায়িকা থেকে কর্মী পদে পদোন্নতি পাবেন। (ICDS Recruitment 2024)?

পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যে সকল প্রার্থীরা অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে সংশ্লিষ্ট ব্লকে কাজ করছেন, তারা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর ফলে বেতনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে মাসিক ১০০০ টাকা। এরজন্য অবশ্য প্রত্যেক আবেদনকারী প্রার্থীকে পরীক্ষায় বসতে হবে। পরীক্ষায় না বসলে সেই প্রার্থীকে নিয়োগের তালিকা থেকে বাতিল করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং অভিজ্ঞতা সব মিলে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেরিট স্কোর প্রকাশ করা হবে। যার নম্বর বেশি থাকবে সেই প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now
× close ad