Calcutta High Court : এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে জারি করা হলো সিআরপিএফ কনস্টেবল ও কেন্দ্রীয় সরকারের আর্মড ফোর্সে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। রাজ্য থেকে ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য হাইকোর্টে অভিযোগ উঠেছে। ভিনরাজ্যের যুবক-যুবতীরা জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চাকরি পেয়েছেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হয়েছেন। এই কারণে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, ২০২১ এবং ২০২২ সালের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং স্টাফ সিলেকশন কমিশনের হলফনামা তলব করেছেন। এর জন্য সিবিআইকেও দিতে হবে রিপোর্ট।
নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ
সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মাধ্যমে ২০২১ সালে ও ২০২২ সালে সিআরপিএফ কনস্টেবল ও আর্মড ফোর্স নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের ৩ হাজার ও ২০২২ সালে ৬ হাজার ৩৮০টি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হয়। এখনো পর্যন্ত ২০২১ সালে ১ হাজার ৫০০টি পদে নিয়োগ করা হয়েছে ও ২০২২ সালে ৩ হাজার ৬২৭টি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি পদগুলি শূন্যই রয়েছে। আর এর মাঝে সুপ্রতীপ পাল ও রাহুল মাঝি, এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিআরপিএফে প্রচুর সংখ্যক ভুয়ো প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
নভেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি
ভিনরাজ্যের অনেক প্রার্থী এখান থেকে চাকরি পেয়েছেন। তাদের নিয়োগ বাতিল করা হলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেতে পারেন। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছে যে, সিবিআই ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীতে ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার তদন্ত করছে। আদালতকে (Calcutta High Court) সময় দিতে হবে সিবিআইকে বক্তব্য জানানোর জন্য। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, যেখানে সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। এমনকি, সিবিআইকেও তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের ৩৯টি পদ ফাঁকা রেখে চলবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।