Bhu-Aadhar: আধার কার্ড হল প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। আর ভারতের নাগরিকদের সচিত্র পরিচয় পত্র হিসেবেও এই আধার কার্ডের গুরুত্ব রয়েছে। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম করতে এই আধার কার্ড প্রয়োজন হয়। এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, যেকোনো সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করা, গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি পাওয়া ইত্যাদির জন্যই প্রয়োজন হয় আধার কার্ড, তবে এবার দেশের জমির জন্যও থাকবে আলাদা আধার কার্ড। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই আধার কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য (Bhu-Aadhar)।
জমির জন্য নতুন আধার কার্ড পরিকল্পনা
সম্প্রতি মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদের বাজেট পেশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, এই পূর্ণাঙ্গ বাজেটে নানা ধরনের নতুন ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে একটি ঘোষণা হলো জমির জন্য আধার কার্ড তৈরি। আর এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ভূ-আধার। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে গোটা দেশ জুড়ে ভূমি সংস্কার সংক্রান্ত সমস্ত কাজগুলি সম্পন্ন করা হবে, এর জন্য নতুন দায়িত্ব দেওয়া হবে রাজ্য সরকারগুলিকেও এবং এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্যও করবে রাজ্য সরকারকে।
ভূ আধার কি?
আসলে বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষজনের একটি নির্দিষ্ট আধার নম্বর রয়েছে। ১৪ ডিজিটের একটি নম্বরে ঐ ব্যক্তির সমস্ত তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকে। একই ভাবে নির্দিষ্ট ভূ-আধার (Bhu-Aadhar) তথা ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা ইউএলপিআইএন এর মাধ্যমেও জমির সমস্ত তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকবে। এই কার্ডের মাধ্যমে জমি সনাক্তকরণ নম্বর, জমির ম্যাপিং ও মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি থাকবে প্রশাসনের কাছে। দেশের প্রতিটি জমির জন্য তৈরি হবে আলাদা আলাদা আধার নম্বর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে, আপাতত গ্রামীণ এলাকার জমি গুলিকে প্রথমে ভূ আধার প্রকল্পের অধীনে আনা হবে। দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই ভূমি সংস্কারের জন্য একাধিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে এবং ভূ-আধার বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।
শহরের জমির জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট ঘোষণার সময় জানান যে, দেশের গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটা জমিকে সার্ভে করা হবে, তবে শহরের জমির ক্ষেত্রে কিছুটা অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শহরের জমি চিহ্নিত করার জন্য চালু করা হবে GIS ম্যাপিং সিস্টেম। আর এর পাশাপাশি শহরের জমির রেকর্ড নথিভুক্ত করার জন্য থাকবে আইটি সিস্টেম (Bhu-Aadhar)।
দেশের জনগণ কতটা উপকৃত হবেন?
ভূমি সংক্রান্ত নানান বিবাদের কথা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে, যার জেরে খুন জখম এর ঘটনাও ঘটেছে। জমি সংক্রান্ত এই বিবাদ মেটাতেই সরকারের তরফ থেকে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে জমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যা, জমির ম্যাপিং ইত্যাদি সমস্যাগুলি মিটবে বলেই আশা করা হচ্ছে।