Torn Notes from ATM Exchange Rule : আজকাল ব্যস্ততম জীবনে মানুষ চাননা ব্যাংকে গিয়ে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে। তাই বেশিরভাগ মানুষই এটিএম থেকে চটজলদি টাকা তুলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। দিনের যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে থেকে খুব সহজেই কোনোরকম ঝামেলা ঝঞ্ঝাট ছাড়াই এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়। তবে, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় যদি কখনো ছেঁড়া নোট বা জাল নোট বের হয়, তাহলে আপনি কী করবেন? আজ আমরা আপনাদের বলতে চলেছি, যদি এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় এটিএম থেকে ছেঁড়া নোট বা জাল নোট বের হয়, তাহলে আপনি কী করবেন এবং কীভাবে সেই নোটটিকে বদলাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি এক নজরে।
এটিএম থেকে ছেঁড়া নোট বা জাল নোট বের হলে কী করবেন ?
RBI অর্থাৎ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে দেশের সকল ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, কোনো ব্যক্তি যদি ছেঁড়া বা ফাটা নোট নিয়ে ব্যাংকে আসে তাহলে ওই নোটটি বদলে দিতে হবে। এরপর ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল যে, এটিএম থেকে যদি ছেঁড়া নোট বা জাল নোট বের হয়, তাহলে ওই নোটটিকে এটিএম এ থাকা সিসিটিভির সামনে গিয়ে তুলে ধরে এবং যে সময় এটিএম থেকে টাকা তোলা হচ্ছে, সেই সময় এবং যে স্থানের এটিএম থেকে টাকা তোলা হচ্ছে সেই স্থানের তথ্য এবং এটিএম মেশিনের তথ্য নিয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন। কোনো গ্রাহক যদি ছেঁড়া নোট বা ফাটা নোট নিয়ে ব্যাংকে বদল করতে আসেন, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সেই নোটটি বদলে দিতে হবে। যদি সেই সময় ব্যাংকের কাছে নোট না থাকে, তাহলে ১৫ দিনের মধ্যে ওই নোট গ্রাহককে বদলে দিতে হবে। যদি কোনো ব্যাংক নোট বদল করতে না চায়, তাহলে ওই ব্যাংকের উপর ১০,০০০ টাকার জরিমানা করা হবে। এই নিয়ম দেশের সকল ব্যাংক এবং ব্যাংকের শাখাগুলির উপর কার্যকারী।
নোট বদলের কিছু নিয়ম
আপনাদের জানিয়ে রাখি, নোটের পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে নোট বদলের দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে, অর্থাৎ নোটটি কতটা ছেঁড়া তার উপর ভিত্তি করে নোট বদল করা হবে। যেমন –
প্রথম ক্যাটাগরি – নোটটি যদি পুরনো হয়ে যায় কিংবা হালকা রং উঠে যায়, কোনো জায়গায় কেটে অথবা ফেটে যায়, কিন্তু নোটটির সম্পূর্ণ অংশ আপনার কাছেই থাকে, তাহলে ওই নোটটি প্রথম ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। আর সেক্ষেত্রে ওই পুরনো টাকা পরিবর্তন করে সমপরিমান টাকা পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরি – কোনো নোট যদি দুইয়ের বেশি টুকরো হয়ে যায় কিংবা নোটটির কোনো একটা টুকরো হারিয়ে যায়, তাহলে ওই নোটটি দ্বিতীয় ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। আর সেক্ষেত্রে যদি ৫ টাকার, ১০ টাকার অথবা ২০ টাকার নোট হয় এবং ছেঁড়া নোটটির একটি অংশ ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তাহলে ওই টাকার বদলে সমপরিমান টাকা পাওয়া যাবে। যদি টুকরোটি ৫০ শতাংশের কম হয়, তাহলে ওই টাকার বদলে কোনো টাকা পাওয়া যাবে না। আবার ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা এবং ৫০০ টাকা এই এই নোটগুলি যদি ছেঁড়া হয়, আর ছেঁড়া অংশটি যদি ৬৫ শতাংশের বেশি হয়, তাহলে ওই ছেঁড়া নোটটির বদলে সমপরিমান টাকা পাওয়া যাবে, তবে ছেঁড়া অংশটি যদি ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে হয়, তাহলে ওই ছেঁড়া নোটটির বদলে তার অর্ধেক টাকা পাওয়া যাবে। যদি ছেঁড়া অংশটি ৪০ শতাংশের কম হয়, তাহলে ওই ছেঁড়া নোটটির বদলে কোনো টাকা পাইয়া যাবে না।