Village Business Idea: অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে, শহরে থাকা মানুষেরাই বেশি উপার্জন করতে পারেন, গ্রামে থাকা মানুষেরা সেই অর্থে উপার্জন করতে পারেন না। তাই অনেকেই ভালো টাকা উপার্জনের জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। তবে, আপনারা কি জানেন গ্রামে কম আয় করলেও শহরের তুলনায় অনেক ভালো জীবনযাপন করা সম্ভব? আসলে অনেকেই গ্রামে একটি ব্যবসা শুরু করে সেই ব্যবসা থেকেই ভালো টাকা উপার্জন করে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। তবে, অনেকেই দিশা পান না যে, কোন ব্যবসা করবেন, কারণ ব্যবসা করতে গেলে লাগে পুঁজি, যা সবার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভবপর হয় না। তাই আজ আমরা আপনাদেরকে এমন পাঁচটি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে বলতে চলেছি, যার মাধ্যমে আপনি লাভ করতে আয় করতে পারেন প্রতি মাসে কুড়ি হাজার টাকা। তাহলে আর দেরি কিসের, চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।
গ্রামের ৫টি সেরা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা (Village Business Idea)
যারা গ্রামে বাস করেন এবং সেখানে কোনো ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এই ৫টি ব্যবসা লাভজনক প্রমাণিত হয়ে পারে। নিম্নে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
১) ফুলের ব্যবসা – আপনি ফুলের ব্যবসা করে অনায়াসেই প্রতিমাসে ২০,০০০ টাকা বা তার থেকেও বেশি পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ফুল কেনাবেচার বদলে, নিজে ফুল উৎপাদন করে শহরে তা পাঠাতে হবে। শহরে ফুলের যেমন চাহিদা তেমনি দামও আকাশছোঁয়া। আর আপনি গ্রামে কম খরচে ফুল উৎপাদন করে তা শহরে চালান করে প্রতিমাসে মোটা টাকা আয় করতে পারেন খুব সহজেই। আপনি এক্ষেত্রে ফুল চাষ সংক্রান্ত এবং ফুল চালান করার জন্য ভালোভাবে প্যাকিং করার প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
২) আচার তৈরির ব্যবসা – আচার তৈরির ব্যবসা খুবই লাভজনক। এই ব্যবসা শুরু করে আপনি প্রতিমাসে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন খুব সহজে। এর জন্য প্রথমে আপনাকে গ্রামের চাষীর কাছ থেকে ফল বা সবজি কিনে নিতে হবে। এতে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ কিছুটা কমবে। এরপর আচার তৈরি করে আশেপাশে সমস্ত দোকানে গিয়ে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। এমনকি আপনি চাইলে ভালো প্যাকেজিং করে আচারগুলি শহরেও চালান করতে পারেন কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে তা বিক্রি করতে পারেন। আপনার আচারের স্বাদ যদি মানুষের পছন্দ হয়, তাহলে আপনেয়ার আচারের চাহিদা বাড়বে। আর তারপর আপনি ধীরে ধীরে নিজস্ব একটি কোম্পানী খুলে নিতে পারেন।
৩) পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা – জমির দামশহরের থেকে গ্রামে অনেক কম, তাই আপনি গ্রামের একটি বড়ো জায়গা জুড়ে পোল্ট্রি ফার্ম খুলতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে একটি বড়ো চালির মতো বাড়ি বানাতে হবে এবং পোল্ট্রিকে খাবার ও জল দেওয়ার সরঞ্জাম ক্রয় করতে হবে। এরপর যেকোনো পোল্ট্রি ফার্মিং কোম্পানী থেকে পোল্ট্রি বাচ্চা নিয়ে নিজের ফার্মে ছাড়তে পারেন। পোল্ট্রির খাবার ও অষুধ ওই পোল্ট্রি কোম্পানী সরবরাহ করবে। এরপর পোল্ট্রি বড়ো হলে খরচের টাকা কেটে লাভের টাকা আপনার হাতে দেবে কোম্পানী। এই ব্যবসা থেকে আপনি প্রতিমাসে ১৫,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
৪) পেঁয়াজ স্টোরেজ ব্যবসা – অপর একটি লাভজনক ব্যবসা হলো পেঁয়াজ স্টোরেজ। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার একটি বড়ো ঘরের প্রয়োজন হবে, যেখানে পেঁয়াজ স্টোর করার জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকবে। পেঁয়াজ নষ্ট যাতে না হয় তার জন্য সঠিক তাপমাত্রা এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশ থাকতে হবে। এই ব্যবসা করার জন্য সঠিক যোগাযোগ এবং বৈদ্যুতিক সুবিধা থাকতে হবে, তবেই এই ব্যবসা করা যাবে। এর থেকে আপনি প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন মোটা টাকা।
৫) কাঠের পণ্য তৈরির ব্যাবসা – যদি আপনার গ্রামে জঙ্গল থাকে, তবে আপনি কাঠের পণ্য তৈরির ব্যবসা শুরু করে প্রতিমাসে আয় করতে পারেন ২০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা। কাঠের জানালা, দরজা, পালঙ্ক, টেবিল এবং চেয়ার প্রভৃতি পণ্য তৈরি করে সেগুলি বিক্রি করে আয় করতে পারেন। তবে, এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কাঠ মিস্ত্রির কাজ শিখতে হবে অথবা কোনো কাঠ মিস্ত্রিকে নিয়োগ করতে হবে। আগে অর্ডার নিয়ে তারপর জিনিস তৈরি করতে পারেন। আগে অর্ডার নেওয়ার সময় আপনি কিছু পরিমাণ টাকা ক্রেতা থেকে নিয়ে নিতে পারেন, এতে আপনার কিছুটা লাভ হবে।