News Desk : ভ্রমণ পিপাসু প্রতিটি মানুষই ট্রেনে করে ভ্রমণ করতে বেশ পছন্দ করেন, কারণ ট্রেনে করে যেতে যেতে বাইরের প্রকৃতির রূপ ও উপভোগ করা যায়, আর তার পাশাপাশি যাতায়াতের খরচও বেশ কম হয়। কিছুদিন আগেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটি চালু হয়েছিল, যা নিয়ে মানুষের মাতামাতি দেখা গেছে। আবার ফের আর একটি ট্রেন নিয়ে মানুষের মাতামাতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যেটি হল অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। গত শনিবার অর্থাৎ গত বছরের ৩০শে ডিসেম্বর অযোধ্যায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার আসা যাক ট্রেনটির বিশেষত্বে।
ট্রেনটির বিশেষত্ব কি?
রেলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, এই ট্রেনটি সমস্ত রকম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। এই নয়া অমৃত ভারত ট্রেনে ২২টি কোচ রয়েছে, যেখানে ১৮০০ যাত্রী সফর করতে পারবেন। এই ট্রেনটি পুশ-পুল প্রযুক্তিতে চলবে। ট্রেনের উভয় প্রান্তেই ডাব্লিউ এপি-৫ ইঞ্জিন যুক্ত থাকছে। আপাতত এই ট্রেনে ১২টি কামরা নন-এসি স্লিপার কামরা এবং ৮টি জেনারেল শ্রেণির কামরা রয়েছে, এছাড়া দুটি কামরা থাকছে লাগেজ ভ্যান। প্রতিটি যাত্রীর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কামরায় থাকবে সিসি ক্যামেরা, এলইডি আলো, মোবাইল চার্জার, আধুনিক মানের পাখা। প্রতিটি কোচের সাজসজ্জায় রয়েছে অভিনবত্ব। ট্রেনের বেসিনের জলের কলে সেন্সর থাকছে এবং টয়লেটটি হবে বায়ো টয়লেট। ট্রেনটির চালকের কেবিন সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। দুর্ঘটনা রুখতে চালকের আসনগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে সামনের পথের দৃশ্য পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।
ট্রেনটির গড় গতিবেগ ৫৪ কিমি প্রতি ঘন্টা
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, পরবর্তীতে অমৃত ভারত ট্রেনে এসি কামরাও আনা হবে। ৩০শে ডিসেম্বর পথ চলা শুরু হয়েছে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের, তবে বাণিজ্যিক ভাবে এই ট্রেন ছুটতে শুরু করবে ৭ই জানুয়ারি থেকে। ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত রুটে চলবে। ট্রেনটি মালদা টাউন সহ বাংলার ৯টি স্টেশন সহ মোট ৩২টি স্টেশনে থামবে এবং এই ট্রেনের গড় গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৫৪ কিলোমিটার। এই ট্রেনটি মালদা থেকে প্রতি রবিবার করে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ বেঙ্গালুরু পৌঁছবে এবং বেঙ্গালুরু থেকে ওইদিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মালদহ পৌঁছবে। এই ট্রেনে করে মালদা থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত যেতে মোট ৪২ ঘণ্টায় সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। এই ট্রেনে ১ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রা করতে দ্বিতীয় শ্রেণির অসংরক্ষিত আসনের ভাড়া ৩৫ টাকা এবং ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রা করতে জেনারেল শ্রেণিতে অসংরক্ষিণ আসন ভাড়া ১৮৪ টাকা দিতে হবে, এছাড়াও একই দূরত্বে স্লিপার শ্রেণির ভাড়া ৩১২ টাকা দিতে হবে। হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের ক্ষেত্রে সাধারণ শ্রেণির ভাড়া ৩১৪ টাকা এবং স্লিপার শ্রেণির ভাড়া ৫২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আইআরসিটিসি কিছুদিন আগেই এই ট্রেনের সংরক্ষিত কামরার টিকিট অনলাইনে ছেড়েছিল, যা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ বুক হয়ে গেছে।