News Desk : চাকরি পাওয়া যতটা আনন্দের, ঠিক ততটাই কষ্টের চাকরি খোয়ানো। আর গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষ লগ্নে ফের কর্মী ছাঁটাই হয় পেটিএমে। এর আগেও বহুবার বহু কর্মীর চাকরি গেছে পেটিএমে। আবারও মাথায় বাজ পড়লো পেটিএমের বহু কর্মীর চাকরি যাওয়ার খবরে। বছর শেষে পেটিএম থেকে ১০০০ কর্মীর চাকরি যাওয়ার খবরে কর্ম জগতে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে যে, আগামী কয়েক মাসে আরো কর্মী তাদের চাকরি খোয়াতে পারে। তবে এখন প্রশ্ন হলো কি কারণে পেটিএম কোম্পানী এমন সিদ্ধান্ত নিলো? আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে।
কর্মীদের চাকরি যাওয়ার কারণ
পেটিএমের ১০০০ কর্মী এবার খোয়ালো তাদের চাকরি। এই সংস্থার বিভিন্ন দফতর থেকেই কর্মীদের বরখাস্ত করা হবে বলে শোনা যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, পেটিএম-এর মালিক সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনস বিভিন্ন শাখায় কর্মরত প্রায় ১০০০ জন কর্মীর চাকরি কেড়েছে। জানা গেছে যে, কোম্পানীটি মূলত খরচ কমাতেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই এই সংস্থার বহু কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এবারও সেই ধারাই বজায় রইলো, উপরন্তু নতুন বছরেও সংস্থার আরো বেশ কিছু কর্মীর চাকরি যেতে পারে বলেও রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে। ভারতের অন্যান্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধ্যে পেটিএমেই এত কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, যা খুব সংস্থাই করেছে।
পেটিএম সংস্থা কী বলছে?
কর্মীদের খারাপ পারফরম্যান্সের এবং এর পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যাপক ব্যবহারের জন্য কর্মীরা চাকরি হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে পেটিএম। পেটিএমের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি নিয়ে তাদের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে গ্রাহকদের আরো সুবিধা দেওয়া যায়। এআই ব্যবহারের ফলে কাজের গতি বাড়ার পাশাপাশি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মীর পারিশ্রমিকের খরচের ভার বহনের দায়িত্বও কমবে কোম্পানীর কাঁধ থেকে।
১০ শতাংশ কর্মী হারিয়েছেন চাকরি
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে পেটিএম। এই আবহে প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এর আগে ২০২১ সালে ৫০০ থেকে ৭০০ জন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল পেটিএম, যা ২০২৪ সালেও জারি থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পেটিএম তার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে নতুন ধাঁচে গড়ে তুলছে। গত বছর পেটিএমের শেয়ারের দামেও বিশাল ধস নেমেছিল। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সংস্থার শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় নেমেছিল ২০ শতাংশ। আর তার মাঝে বিনিয়োগের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে সংস্থার কর্মীদের ওপরে। তাই সংস্থাটি খরচ কমাতে কর্মীদের চলতি থেকে বরখাস্ত করছে।