News Desk : আপনি কি জানেনবর্তমানে ভারতের কত শতাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্গত? জানেন কি প্রতিমাসে ঠিক কত টাকা আয় করলে ব্যক্তিকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্গত বলা যাবে? হয়তো এই প্রশ্নগুলো এর আগে কখনো ভেবে দেখেননি, তবে এখন শোনার পর নিশ্চই বারবার প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে? যদি এর উত্তর শোনেন আপনি চমকে যাবেন। যাইহোক, আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আপনাদের এই সকল প্রশ্নের উত্তর বলতে চলেছি। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
মধ্যবিত্ত কারা এবং বার্ষিক উপার্জন কত?
আমরা সাধারনত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্গত তাকেই ধরি, যার প্রতি মাসে নিশ্চিত একটা আয় আছে এবং যার সংসার খানিক স্বচ্ছন্দে চলে। দাড়ান দাড়ান, এখন যদি আপনি প্রকৃত মধ্যবিত্তের আয় সীমা জানেন, তবে আপনি ভিরমি খাবেন। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে বছরে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা উপার্জনকারীরা হলেন মধ্যবিত্ত, অর্থাৎ যারা মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেন তারা হলেন মধ্যবিত্ত। উল্লেখ্য যে, কোনো ব্যক্তি যদি বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন, তবে সেই ব্যক্তিকে মধ্যবিত্ত, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে নিম্ন মধ্যবিত্ত বলেও ধরা হয়ে থাকে।
সমীক্ষার রিপোর্ট কী বলছে?
বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়সীমাকে উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করেছে বেশ কিছু সমীক্ষক দল। লক্ষ্যনীয়, যে ব্যক্তি বছরে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করেন তিনিও মধ্যবিত্ত শ্রেণির, আবার যিনি বছরে আড়াই লক্ষের বেশি টাকা উপার্জন করছেন তিনিও মধ্যবিত্তের অন্তর্গত। আসলে অনেক ক্ষেত্রেই আয়ের বিপুল ফারাকের কারণে জীবনযাত্রায় বিস্তর ফারাক দেখা দেয়। এর ফলে মধ্যবিত্তদের মধ্যেও এক প্রকার বৈষম্য দেখা দেয়। বেশ কিছু সমীক্ষক জানিয়েছেন যে, বর্তমান ভারতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই নিজেদের মধ্যবিত্ত বলে দাবি করেন। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৪৮ সালের মধ্যে ভারতে মধ্যবিত্তের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশে উন্নীত হবে। আবার অপর এক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের মধ্যে জীবনধারণের খুব বেশি পার্থক্য নেই। কিছু টাকার হেরফের জীবন যাপনের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলে না।