News Desk : হাতে গোনা আর মোটে কটা দিন। তারপরই শুরু হচ্ছে জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা মাধ্যমিক। চলতি বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে এই মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষায় যথার্থ ফল পাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। আর এরই মাঝে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দিল নয়া এক আপডেট। একেবারে পরীক্ষার দোরগোড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিলের ঘোষণা করলো মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। গতবারের তুলনায় এবারের পরীক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও কোনো এক বিশেষ কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা কমানো হলো। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কতগুলি পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করলো পর্ষদ?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ২০০টি পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিলের ঘোষণা করলো। অন্যবারের তুলনায় এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজিত হতে চলেছে কম পরীক্ষা কেন্দ্রে। পর্ষদের তরফ থেকে পরিকাঠামোরগত দিকগুল ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি অথচ পরীক্ষা কেন্দ্র কম হওয়ার এই নয়া আপডেট পেয়ে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পড়েছে চিন্তায়। পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে যে, প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় এবছর অনেকটাই বেড়েছে বলে জানা গেছে।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় বাড়লো কত?
আসলে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লক্ষ। আর এই বছর আরো তিন লক্ষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। তবে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও গত বছরের তুলনায় এবছর ভেন্যুর সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। আসলে গত বছর প্রধান ভেন্যু ও সাব ভেন্যু মিলিয়ে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২,৮৬৭টি, তবে, এই বছর পর্ষদ বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করায় মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৬৭৫টি। সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছর ২৪০টি প্রধান ভেন্যুর সংখ্যা কমিয়ে ৪৮টি সাব ভেন্যুর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই পরিসংখ্যান বলছে যে, এই বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা একদিকে যেমন বেড়েছে, ঠিক অপরদিকে ভেন্যুর সংখ্যা গেছে কমে। তাই এখন পরীক্ষা কীভাবে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা হবে সেটাই পর্ষদের কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ।
কী কারণে বাতিল করা হলো পরীক্ষা কেন্দ্র?
পর্ষদ জানিয়েছে যে, পরীক্ষাকেন্দ্র বাতিল হওয়ার পেছনে রয়েছে ভেন্যুগুলির উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব। বেশিরভাগ স্কুলেই নেই পাঁচিল বা বাউন্ডারি দেওয়াল, নেই সিসিটিভির জন্য পরিকাঠামো। এমনকি অনেক স্কুলেই প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রবেশ করার জন্য নেই প্রশস্ত পথ। আর তাছাড়া চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি ভালনারেবেল স্কুলগুলিকে। জানা গেছে যে, যে সকল স্কুলগুলি তিনটি আবশ্যিক শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ ছিল, তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোনো স্কুলকেই এই বছর একক কেন্দ্র হিসেবে রাখা হয়নি। প্রতিটি স্কুলকে কোনো না কোনো প্রধান কেন্দ্রের অধীনে রাখা হয়েছে। মূলত, মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনায় যাতে কোনোরকম ফাঁকফোকর না থাকে তাই পর্ষদ অধিকর্তারা প্রথম থেকেই সেই বিষয়ে সতর্ক হচ্ছেন। তাই নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে ও আঁটোসাঁটো নজরদারি বজায় রাখতেই পর্ষদের তরফ থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কিত এহেন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে।