News Desk: সকলের কাছে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নথি হলো আধার কার্ড। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে গ্যাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মোবাইল সিম কিনতে লাগে এই নথিটি। এবার সেই আধার কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা করলো ইপিএফও অর্থাৎ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে আর গ্রহণীয় নয় আধার কার্ড। আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত।
ইপিএফও কী ঘোষণা করেছে?
চলতি বছরের ১৬ই জানুয়ারি ভারত সরকারের শ্রম মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত ইপিএফও অর্থাৎ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন এই ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে আর আধার কার্ডকে গণ্য করা হবে না। যদিও অনেক সংস্থায় আধার কার্ডকে জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে গণ্য করে থাকে, তবে আধার অ্যাক্ট, ২০১৬ অনুযায়ী আধার কার্ড কোনো ব্যক্তির জন্মের প্রমাণপত্র হতে পারে না বলেই জানানো হয়েছে। তাই বৈধ নথির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই কার্ড। সম্প্রতি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন এই বিষয়ে একটি সার্কুলার প্রকাশ করেছে।
ইপিএফও সার্কুলারে কী বলেছে?
ইপিএফও জানিয়েছে, এবার থেকে আর আধার ব্যবহার করে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্পে অনেক আবেদনকারী নিজের জন্ম শংসাপত্রের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড জমা করেন, তবে আর তা গ্রহণযোগ্য নয়। অধার কার্ড কেবল একজন ব্যক্তির ১২ সংখ্যার একটি অনন্য পরিচয় পত্রের প্রমাণ হিসেবে এবং বাসস্থানের প্রমাণ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু তাই বলে বার্থ সার্টিফিকেটের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা কোনভাবেই উচিত নয়, কারণ এই কার্ড তৈরির সময় একাধিক নথি দেখে জন্ম তারিখ বসানো হয়, যাতে কোনো সত্যতা থাকে না।
আধার কার্ডের পরিবর্তে কোন কোন নথি প্রয়োজন?
আধার আইন ২০১৬তে আধার কার্ডকে জন্মসংসাপত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে UIDAI এর আগে একাধিকবার কোর্টে কেস করেছে। সম্প্রতি বোম্বে হাইকোর্টে আরো একবার এই কেসটি উঠেছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২২শে ডিসেম্বর তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন এই সার্কুলার জারি করেছে। যার সঙ্গে জানানো হয়েছে নতুন নিয়ম না মানলে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে আবেদনকারীকে। জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ডের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে বার্থ সার্টিফিকেট, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের সময় প্রাপ্ত এডমিট কার্ড, বোর্ডের মার্কশিট, স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট, সরকারি পেনশন অথবা মেডিক্লেমের সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট, মেডিকেল সার্টিফিকেট ইত্যাদি।