News Desk : অনেক মানুষেরই আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন থাকে আর দুচোখে সেই স্বপ্ন নিয়ে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করেন। অনেকেই প্রথম প্রচেষ্টায় সফল হন, কেউ আবার হন না। তবে লক্ষ স্থির থাকবে সব বাধা অতিক্রম করা যায়, এর প্রমাণ বহুবার পাওয়া গেছে। তবে, আজ আমরা এমন একজনের সাফল্যের গল্প বলতে চলেছি, যিনি একটি সংস্কৃত স্কুলের অধ্যক্ষের মেয়ে। আমরা কথা বলছি ডক্টর এবং আইএএস অক্ষিতা গুপ্তার সম্পর্কে। আম্বালা জেলার বাররা শহরের ডাঃ অক্ষিতা গুপ্তা ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় ৬৯তম স্থান অর্জন করে উত্তীর্ণ হয়ে আইএএস অফিসার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। Success Story
১৪ ঘন্টা কাজের মধ্যে ১৫ মিনিট পড়া
বর্তমানে অক্ষিতার পরিবার চণ্ডীগড়ে বসবাস করছেন। প্রথমে তারা থাকতেন বাররা শহরে। হরিয়ানার পঞ্চকুলার বাসিন্দা অক্ষিতা চণ্ডীগড়ের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এমবিবিএস পড়ছিলেন। আইএএস অফিসার ১৪ ঘন্টা কাজের মধ্যে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে হাসপাতালে পড়াশোনা করতেন। তার ফোকাস ছিল সেসব বিষয়ের প্রস্তুতির প্রতি, যেখানে তিনি ভালো নম্বর পাননি। Success Story
আরো পড়ুন:- মাত্র ২৩ বছর বয়সে হয়েছেন IAS অফিসার
প্রথম প্রচেষ্টায় উত্তীর্ণ
অক্ষিতা গুপ্তা প্রথম প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন সিভিল সার্ভিসেস (UPSC) পরীক্ষায় পাশ করেন। ২৪ বছর বয়সী আইএএস অফিসার অক্ষিতা, ঐচ্ছিক বিষয়ে ৫০০এর মধ্যে ২৯৯ নম্বর পেয়েছিলেন৷ ইউপিএসসি দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত। Success Story
৬৯তম স্থান অর্জন
ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সহজ বিষয় নয়, তবে অনেক শিক্ষার্থী তাদের কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক কৌশল অবলম্বন করে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। আইপিএস, আইএএস, আইএফএসের মতো পদে নিয়োগ পেতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। দিনরাত পরিশ্রম করেও এসব পদে নিয়োগ পান হাতে গোনা মোটে কয়েকজন। তবে অক্ষিতা তার কঠোর পরিশ্রমে ৬৯তম স্থান অর্জন করে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অক্ষিতা বলেছেন, “কলেজের তৃতীয় বর্ষে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমি জিনিসগুলিকে একটি বড় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই, তাই আমিও ইউপিএসসি সিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করি; আমি আমার ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রস্তুতি নিজেই করেছিলাম।”