News Desk : কথায় বলে চেষ্টার ফল কখনো বৃথা যায় না। হতে পারে প্রথমবার সাফল্য এলোনা, কিন্তু চেষ্টা যদি সঠিকভাবে করা যায়, যদি ধৈর্য থাকে, প্রচেষ্টা থাকে, আর কঠোর পরিশ্রম করা যায়, তবে অবশ্যই সেই কাজে সাফল্য পাওয়া যায়। আজ এমনই এক ব্যক্তির সাফল্যের গল্প বলতে চলেছে যার জীবনে এসেছে নানান বাধা-বিপত্তি কিন্তু তিনি সেই বাধা বিপত্তির তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন এবং জীবনে সাফল্য পেয়েছেন। আমরা কথা বলছি বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা শুভম কুমারের সম্পর্কে।
তাঁর এই যাত্রাপথ সহজ ছিল না
শুভম ২০২০ সালে দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসিতে শীর্ষস্থান অর্জন করেছিলেন। দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু হাতে গোনা মাত্র কয়েকজনই সাফল্য অর্জন করতে পারে এই পরীক্ষায়। শুভম, ইউপিএসসিতে শীর্ষ স্থান অধিকার করলেও তাঁর এই যাত্রাপথ সহজ ছিল না। শুভম একবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি তাঁর জীবনে অনেক উত্থান ও পতন দেখেছেন। অনেক সময় তিনি মনের জোর হারিয়ে ফেলতেন। তবে, তাঁর বাবা, মা এবং ভাই তাঁকে সবসময় সমর্থন করেছিলেন। এর ফলে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফল
শুভম বলেন যে, তিনি ইউপিএসসির মতো কঠিন পরীক্ষায় সফলতা পাওয়ার আগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাউন্ট পরিষেবাতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই আইএএস হতে চেয়েছিলেন। ৩ বার পরীক্ষাও দিয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালে প্রথমবার ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তবে, প্রথমবার তিনি ব্যর্থ হন, দ্বিতীয়বার ২৯০তম স্থান অর্জন করেন এবং তৃতীয়বার তিনি শেষমেশ সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১নম্বর স্থান অর্জন করে সাফল্য পান। শুভম জানান যে, তিনি আইআইটি মুম্বাইতে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শুভমের বাবা টাকার অভাবে দিতে পারেননি আইআইটি
আইআইটিতে থাকার সময় তিনি যে কোম্পানীতে ইন্টার্নশিপ করেছিলেন, সেই সংস্থাটি তাঁর কাজ পছন্দ করে তাঁকে কাজের প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে শুভমের যেহেতু স্বপ্ন ছিল ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার, তাই তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এরপর তিনি ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। একটা সময় এমনও গেছে যখন ইউপিএসসি টপার শুভমের বাবা দেবানন্দ সিংহের কাছে টাকা না থাকার কারণে তিনি ১৯৮৩ সালে তাঁর আইআইটি পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে, তিনি নিজে যা করতে পারেননি, তাঁর ছেলে তা করে তাঁকে গর্বিত করেছেন।