News Desk : রাজ্য সরকারের ভাতা প্রকল্প গুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সারা ফেলেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকা করে অনুদান পেয়ে কিছুটা হলেও উপকার পাচ্ছে রাজ্যের মানুষ, তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন করে থাকা সত্বেও তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি কোনো টাকা, সেই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। আবার কিছুদিন ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদানের পরিমাণ বাড়বে তাই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে আমজনতার মধ্যে। অন্যদিকে বার্ধক্য ভাটার আবেদন করা সত্বেও অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি কোনো টাকা। এরকম অনিশ্চয়তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া ঘোষনায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে রাজ্যের মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী করলেন বড়ো ঘোষণা
সূত্রে খবর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের জয়কে সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে রাজ্যের প্রকল্পগুলির সাফল্যকে প্রচারের হাতিয়ার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেইমত রাজ্যের মহিলা ভোটারদের মন পেতে লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদান বৃদ্ধির ওপরে তৈরি হয়েছে নতুন করে জল্পনা। এমতাবস্থায়, সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষনায় হাসি ফুটেছে আট থেকে আশি সকলের মুখে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের সভা থেকে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন করেছিলেন তাদের ব্যাংকে খুব তাড়াতাড়ি টাকা ঢুকতে শুরু করবে।
কেন্দ্রের দিকে তুললেন আঙ্গুল
বার্ধক্য ভাতা যারা পাচ্ছেন না তাদের অ্যাকাউন্টও টাকা ঢুকবে খুব তাড়াতাড়ি। আবেদন করা সত্ত্বেও অনেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান না ঢোকার বিষয়টিকে হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। পাশাপাশি কেন বয়স্করা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতেই যাবতীয় সংশয় দূর করতে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের জন্যে বরাদ্দ টাকা না পাওয়ায় টাকা দিতে দেরি হচ্ছে, তবে খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বার্ধক্য ভাতার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করবে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এই কথা শুনে স্বভাবতই খুশি রাজ্যবাসী।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজিরবিহীন পদক্ষেপ
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ সবার নজর কেড়েছে। সরকারের কাছ থেকে ভাতা পেতে দেরি হওয়ায় এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে গত ৭ই জানুয়ারি থেকে নিজের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারের ৭৬ হাজার প্রবীণ নাগরিককে ভাতা দেওয়া শুরু করেছেন। তিনি জানান যতদিন না সরকার দিতে পারছে ততদিন তিনি দিয়ে যাবেন। অভিষেকের এই ঘটনার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণা রাজ্যের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।