Digital Gold Investment : শাড়ি এবং গহনার প্রতি আকর্ষণ মেয়েদের বরাবরই। আরিয়া আকর্ষণ চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। যেকোনো অনুষ্ঠানে হোক কিংবা কোন কারণ ছাড়াই মানুষ ছুতেন সোনার দোকানে। সোনার দামের ওঠা পড়া লেগেই রয়েছে তবে সোনার গয়নার প্রতি মানুষের আবেগ যেন প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। আজকাল দোকান থেকে সোনা কেনার পাশাপাশি ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার প্রবণতা ভারতীয়দের মধ্যে অনেকাংশে বেড়েছে। কয়েকদিন আগে পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণাকালে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ভৌত সোনার আমদানি কমানো হয়েছে। আর তার পাশাপাশি কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে চলেছেন সার্বভৌম গোল্ড বন্ড স্কিমে বিনিয়োগে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সমগ্র ভারতে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ ফিজিক্যাল সোনা ক্রয় বিক্রয় হয়, তবে বর্তমানে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে সোনা কেনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ভাবে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে এবং ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে বেশ অনেকখানি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কয়েকটি কারণ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
১) সহজে কেনাকাটার সুবিধা
নাভি-র গবেষণা অনুসারে জানা গেছে যে, সহজে ক্রয় বিক্রয় করার সুবিধা পাওয়া যায় বলে মূলত বহু মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করতে বেশি পছন্দ করেন। আসলে ফিজিক্যাল সোনা কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে সোনার বিশুদ্ধতা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নানান চিন্তা ভাবনা করতে হয়, অপরদিকে ডিজিটাল সোনা কেনার ক্ষেত্রে সোনার বিশুদ্ধতার ক্ষেত্রে কোনো ভয় থাকেনা। তাই বহু মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করাতেই বেশি প্রাধান্য দেন। সমীক্ষা অনুসারে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে, একটি অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই ডিজিটাল গোল্ড ক্যাশ করা যায় এবং যেকোনো সময় নিজের ইচ্ছা অনুসারে বিনিয়োগ ট্র্যাক করা যায়। তাই সবদিক থেকে ডিজিটাল সোনা কেনা বেশি সুবিধাজনক (Digital Gold Investment)।
২) দুর্দান্ত রিটান লাভ
বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করলে বেশ ভালো পরিমাণে রিটার্ন পেতে পারেন। নাভি-র সমীক্ষা অনুসারে, গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায় বলেই আজকাল প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, ফিজিক্যাল সোনা কেনার পরিবর্তে।
৩) ডিজিটাল সোনা চোট যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না
যেহেতু সোনা একটি মূল্যবান ধাতু, তাই ফিজিক্যাল সোনা কিনলে সেটিকে সুরক্ষিত রাখতে হয়। নাহলে যেকোনো সময়ই তা চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর এই ভয় থেকে মুক্তি পেতেই অনেক মানুষ ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। যদিও একথা ঠিক যে, ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ যে একেবারেই ঝুঁকিমুক্ত তেমনটা কিন্তু নয়, তবে বলা যেতে পারে যে, ভৌত সোনার থেকে এতে ঝুঁকির পরিমাণ কম। সাইবার জালিয়াতির দিক থেকে সতর্কতা অবলম্বন করলেই অনায়াসেই সুরক্ষিতভাবে ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করা যায় (Digital Gold Investment)।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি সত্ত্বেও সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে যে, আজও বহু মানুষ ডিজিটাল গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় ভোগেন। প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষ ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তেমন কিছু জানেন না। আর তাছাড়া অধিক পরিমাণ জিএসটির কারণে ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মনের নানা দ্বিধাও থাকে। এমনকি, শেয়ার বাজারের তুলনায় কম রিটার্ন, সাইবার জালিয়াতির ভয়ে বহু মানুষ ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের থেকে ফিজিক্যাল সোনা কিনতে পছন্দ করেন। ৪৪ শতাংশ মানুষ ফিজিক্যাল গোল্ডকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।