News Desk : ট্রেনে ভ্রমণ করতে কম বেশি আমরা সকলেই ভালোবাসি। ট্রেনে ভ্রমণ করা যেমন সাশ্রয় তেমনি বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় ট্রেনে করে যাত্রার সময়। ট্রেনে টিকিট কাটার সময়ে আপনি নিশ্চয়ই IRCTC অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বুক করেন। ই-টিকিট এবং আই-টিকিট সম্পর্কে নিশ্চই শুনে থাকবেন, তবে আপনি কি জানেন ই-টিকিট এবং আই-টিকিটের মধ্যে পার্থক্য কি? অনেকেই জানেন না যে, ই-টিকিট এবং আই-টিকিট কি এবং এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। আজ আমরা আপনাদের এই বিষয় তথ্য দিতে চলেছি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
ই টিকিট কি?
ই-টিকিট হলো ইলেকট্রনিক প্রিন্টেড টিকিট। যাত্রীরা তাদের সুবিধামত এই টিকিট প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। বাড়ি থেকে বা কম্পিউটার ক্যাফে থেকে অনলাইনে ই-টিকিট বুক করা হয়। এর বৈধতা রেলওয়ে বুকিং কাউন্টার থেকে ইস্যু করা টিকিটের মতোই। এটি উল্লেখ্য যে, ই-টিকেটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের একটি সরকারি পরিচয়পত্র বহন করতে হয়।
আই টিকিট কি?
ভারতীয় রেলওয়ের দ্বারা যাত্রীর ঠিকানায় আই-টিকিট কুরিয়ার করা হয়, তবে এই টিকিট ইন্টারনেটের মাধ্যমেও বুক করা হলেও তা প্রিন্ট করা যায় না। এটি আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনার দেওয়া ঠিকানায় রেলওয়ের দ্বারা কুরিয়ার করা হয়। এই টিকিটটি যাত্রীর কাছে পৌঁছাতে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা সময় নেয়। এটি উল্লেখ্য যে, যাত্রার দুই দিন আগে আই-টিকিট বুক করা উচিত। টিকিট সংগ্রহ করার জন্য বাড়িতে কেউ থাকা প্রয়োজন, অন্যথায় প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে।
ই টিকিট ও আই টিকিট মধ্যে পার্থক্য কি?
ই-টিকিট, আই-টিকেটের তুলনায় বেশ কিছুটা সস্তা। আই-টিকেটে ডেলিভারি চার্জও যোগ করা হয়, তাই টিকিটের দাম বেড়ে যায়। আপনি একই দিনে ই-টিকিট বুক করতে পারবেন, যেখানে আই-টিকিট দুই দিন আগে বুক করতে হয়। ই-টিকিট বাতিল করা সহজ। আপনি এটি অনলাইনেই বাতিল করতে পারেন। তবে আই টিকিট আপনি অনলাইনে বাতিল করতে পারবেন না। রেলওয়ে স্টেশনে উপযুক্ত কাউন্টারে গিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়, তবে সেই টিকিট বাতিল হয়। ই-টিকেটে সিট বার্থ কনফার্ম বা আরএসি হয়। অপরদিকে, আই-টিকেটে আপনি কনফার্ম, আরএসি বা ওয়েটিং তিনটি বিভাগেই সিট পেতে পারেন।