News Desk : গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১১ই জানুয়ারি নবান্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠক, যেখানে বিপুল শূন্য পদে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্নে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে পঞ্চায়েতে ৭ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
নবান্ন সূত্রে কী জানা গেছে?
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে যে, খুব শীঘ্রই রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে মোট দুটি পদে নিয়োগ করা হবে। ৭ হাজার ২১৬ জনকে নিয়োগ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। নবান্নর তরফ থেকে এই বিষয়ে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এর পাশাপাশি নবান্ন সূত্রে আরো জানা গেছে যে, রাজ্য পুলিশে শীঘ্রই কনস্টেবল পদে প্রায় ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ হতে পারে। শীঘ্রই এর বিজ্ঞপ্তি বেরোতে পারে বলেও জানা গেছে। এইদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, দমকল বিভাগের ফায়ার অপারেটর পদে ১ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে।
সাংবাদিক বৈঠকে কী জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়া?
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়া বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে পঞ্চায়েত স্তরে শূন্যপদ আছে ৬ হাজার ৬৫২টি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে শূন্যপদের সংখ্যা ৫৬৪টি। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করা হয়, যেখানে মানস ভুঁইয়ার পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং অরূপ বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং অরূপ বিশ্বাস কী বললেন?
শশী পাঁজা বলেন, মেটিয়াবুরুজে একটা বড় টেক্সটাইল হাব তৈরি করা হবে এবং হাওড়ার জগদীশপুরে ৩.৬ একর জায়গা জুড়ে নতুন একটি হোসিয়ারি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে ১৫টি নতুন শিল্প সংস্থা আসাবে, এছাড়াও উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ৯.৯৪ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে সিমেন্টের কারখানা। এইদিন সাংবাদিক বৈঠকে অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন যে, উত্তরণ বা স্থায়ী ঠিকানায় যারা রয়েছেন ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে ৯৯ শতাংশ মানুষ পাট্টা পেয়েছেন, আর বাকি ১ শতাংশ মানুষের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
উত্তরণ বা স্থায়ী ঠিকানা কি?
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বস্তির নামকরণ করেছিলেন উত্তরণ। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়েও আলোচনা করা হয়, যেখানে বলা হয় যে, আর বস্তি বা উদ্বাস্তু কলোনী বলা যাবেনা, এর পরিবর্তে নাম হয়েছে ‘স্থায়ী ঠিকানা’।