Independence Day Speech 2024 : আর তিন দিন পরেই স্বাধীনতা দিবস। ১৫ই আগস্ট দিনটি ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনেই ভারত তার ২০০ বছরের পরাধীনতার অন্ধকারের জাল ছিঁড়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। আর এই দিনটি শুধুমাত্র দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিন নয়, এর পাশাপাশি যাঁরা দেশের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, সেই সকল বীর যোদ্ধাদের সম্মান জানানোরও দিন এটি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পাড়া, সরকারি অফিস, কর্পোরেট অফিস সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি নাচ, গান, বক্তৃতার সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দিনে ভারতের স্বাধীনতার উদযাপন করা হয়। আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সব স্কুলের শিশুরাই নিজেদের বক্তৃতা তৈরি করছে। যদি কোনো শিশু এখনও নিজের বক্তৃতা তৈরি করে উঠতে না পারে তবে আজকের প্রতিবেদনটি তার জন্য বিশেষ হতে চলেছে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে স্বাধীনতা দিবসের দিন স্কুলে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য একটি বক্তৃতার নমুনা দিতে চলেছি, যা শিশুরা অনায়াসেই স্কুলে পাঠ করতে পারবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
জেনে নিন ভারতের জাতীয় পতাকার কয়েকটি অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বক্তৃতার নমুনা
আজ, স্বাধীনতা দিবসের এই শুভ দিনে আমি এখানে উপস্থিত সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। সকলের সামনে এই বিশেষ দিনে আমাকে কিছু বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশদের ২০০ বছরের শাসন থেকে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ভারতীয়দের উপর চালানো অকথ্য অত্যাচার, পরাধীনতার বেড়াজাল থেকে ভারতকে, ভারতবাসীদের মুক্ত করতে বহু বীর আত্মবলিদান দিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মহাত্মা গান্ধি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, রাজগুরু, জহরলাল নেহরু, লালা লাজপত রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক, প্রমুখ। দেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পিছনে এই সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অবদান অনস্বীকার্য। এই শুভদিনে তাঁদের প্রণাম জানাই। আজকের দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর থেকে প্রতি বছর আমরা এই দিনটি খুব জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী দিল্লির লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন এবং দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে ৩১ বন্দুকের স্যালুট দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে থাকেন। সেনারা প্রধানমন্ত্রীকে এদিন স্যালুট জানান। আজ মহাপুরুষদের পাশাপাশি আমরা সেই বীরদের প্রণাম জানাই, যাঁরা দেশকে রক্ষা করার জন্য দিন রাত ভারত মাতাকে পাহারা দিচ্ছেন, যাতে আমরা কোনো পরাধীনতার শৃঙ্খলে আটকে না থাকি। এই সমস্ত মহান ব্যক্তি এবং সাহসী সৈনিকদের স্যালুট করে আমি আমার বক্তৃতা শেষ করছি। ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।