News Desk : চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে চারিদিকে শুরু হয়েছে শোরগোল। একের পর এক নয়া নয়া আপডেট এসেই চলেছে। কখনো পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন, তো কখনো আবার কোনো না কোনো নির্দেশিকা জারি। শেষ মুহূর্তে এসে সরকারি নির্দেশে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হঠাৎই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর সময়টা বদলেছে, যা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়, যার রায় দিয়ে আদালত। আসুন জেনে নেওয়া যাক আদালত কী জানিয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
আদালত কী জানালো?
চলতি বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবারেও লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে বসবে। পর্ষদের নির্দেশে এবার সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। সময় এগিয়ে আসায় রাজ্যে প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আর বিশেষ করে শীতকাল হওয়ায় বেশি কুয়াশা পড়লে সকালের দিকে রাস্তাঘাটে গাড়ি পেতেও সমস্যা হতে পারে। এমনকি কুয়াশার মধ্যে নদী পারাপার হওয়া বেশ মুশকিলের হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে অত সকালে সুন্দরবনের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা কীভাবে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে অবস্থিত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পৌঁছবে, তা নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল, যা শুনে এবং বিচার বিবেচনা করে বিচারপতি বসু, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর সময় নিয়ে রায় দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরুর যেহেতু কটাদিন মাত্র বাকি। হাতে আর একদমই সময় নেই। তাই অসুবিধা হলেও পর্ষদের ঘোষণা করা পরীক্ষা শুরুর সময়ের উপর কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না তিনি, অর্থাৎমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দেওয়া সময় অনুযায়ী।
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশিকা জারি
বিচারপতি বসু, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন, যা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হল কিনা তা জানিয়ে ৩০শে জানুয়ারি পর্ষদ ও সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক আদালত কী কী নির্দেশিকা জারি করলো।
কী কী নির্দেশিকা জারি করলো হাইকোর্ট ?
১) রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে সঠিক সময় পৌঁছতে পারে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছনোর জন্য সকাল থেকে রাস্তায় প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত পরিমাণে যানবাহনের ব্যবস্থা রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
২) পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনার বিষয়টি এবং সমস্যা হলে পরীক্ষার্থীরা কার কাছ থেকে সাহায্য চাইবে সেই বিষয়গুলি প্রতিটি থানা এলাকায় মাইকিং করে জানাতে হব। পরীক্ষার্থীরা যদি কোনো অসুবিধায় পড়ে, তবে প্রশাসনকে, তাদের সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে হবে।
৩) পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য পর্ষদকে একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪) কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে বা পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ হলে তার জন্য কী কী ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে সে বিষয়েও হাইকোর্টকে জানাতে হবে।