এবার ঋণ নিয়েও হয়ে উঠুন ধনী! জেনে নিন বড়লোক হওয়ার সিক্রেট

Published On:

News Desk : ধনী হতে কে না চায়? তবে, দিনে দিনে যে হারে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে আর  তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব, তাতে করে ধনী হয়ে ওটা বেজায় কঠিন। বাড়ি,গাড়ি কিংবা কোনো ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী কিনতে ব্যাংক লোন সাধারণ মধ্যবিত্তের একমাত্র ভরসা। আর একবার যোদিনেই ঋণের চক্করে পড়তে হয় তবে বইতে হবে EMI- এর বোঝা। এরপর এই ঋণশোধ করতে রীতিমত নাকানিচোবানি খেতে হয় মানুষজনকে। তাই এই ঋণ থেকে অনেকেই দূরে থাকেন। তবে, আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এই ঋণ নিয়েও ধনী হওয়া যায়। কী অবাক লাগছে? আসলে, জাপানি আমেরিকান উদ্যোগপতি তথা লেখক রবার্ট কিয়োসাকি সম্প্রতি ধনী হওয়ার ফর্মুলা ফাঁস করেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক তিনি কি বলেছেন।

ঋণ থেকেও অর্থ উপার্জন করা যায়

কিয়োসাকির মতে, ঋণ নেওয়া কখনোই খারাপ নয়। এর থেকেও অর্থ উপার্জন করা সম্ভব, কিন্তু সেক্ষেত্রে ঋণের টাকা সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে। অতি সহজে ধনী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কিয়োসাকি একটি বই লিখেছেন, যার নাম ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’। এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তা বেস্ট সেলারের তকমাও পেয়েছিল। ওই বইতেই  এই জাপানি উদ্যোগপতি ধনী হওয়ার ফর্মুলা ব্যাখ্যা করেছেন। সম্প্রতি এক পডকাস্টে তিনি ঋণের টাকায় ধনী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। এমনকী সেই ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেন তিনি, যা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়।

জাপানি উদ্যোগপতি কী বললেন?

তিনি ঋণ নিয়ে ধনী হওয়া সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, সম্পত্তি ও দেনার মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। যে এই পার্থক্য বুঝতে পারবেন তার পক্ষে অর্থ উপার্জন করাটা সহজ। অধিকাংশ মানুষই ঋণ নিয়ে দামি গাড়ি, আইফোন কিংবা শখের জিনিস কিনে ফেলেন, কিন্তু এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত এবং বোকামি, কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন গাড়ির দাম কমতে শুরু করে, আর অন্যদিকে ঘাড়ে চাপে EMI-র বোঝা। তবে, যদি সোনা-রূপা, রিয়েল এস্টেট ও বিটকয়েনে বিনিয়োগ করা হয় তবে তা ভবিষ্যতে আর্থিক সুবিধা প্রদান করবে। কিয়োসাকি বলেন যে, তিনি কখনোই নগদ অর্থ সঞ্চয় করটে পছন্দ করেন না, বরং তিনি সোনা এবং রুপো সঞ্চয় করেন। কিয়োসাকি বলেছেন যে, তাঁর মাথায় বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণের বোঝা রয়েছে, তবে তিনি এতে মোটেও চিন্তিত নন, বরং তিনি এই ঋণ থেকে আরো বেশি অর্থ উপার্জন করেছেন। তিনি বলেন, মানুষের উচিত ঋণ নেওয়া। কোন খাতে কেন ও কত টাকা ঋণ নেওয়া হচ্ছে তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই ঋণের টাকা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করা হবে প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now
× close ad