Lakhpati Didi Yojana: এবার দেশের প্রতিটি মহিলা হবেন লাখপতি! জানুন বিস্তারিত

Last Updated:

News Desk : কেন্দ্রীয় সরকার, দেশের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ‘লাখপতি দিদি যোজনা’ শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছে। চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লার থেকে ‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্পর কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সাথে যুক্ত প্রায় ১০ কোটি মহিলা উপকৃত হবেন। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ব্যাঙ্কওয়ালি দিদি’, ‘অঙ্গনওয়াড়ি দিদি’, ‘মেডিসিনওয়ালি দিদি’৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, তাঁদের লক্ষ্য দেশের প্রত্যেক মহিলাদের আর্থিক উন্নতি করে ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করা। প্রাথমিকভাবে দেশের ২ কোটি মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

রাজস্থানের ১১.২৪ লাখ মহিলা পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করেছেন। জয়সলমীরের শহিদ পুনম সিং স্টেডিয়ামে লাখপতি দিদি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, রাজস্থানের ১১.২৪ লাখ মহিলা এই লাখপতি দিদি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। মহিলারা একটি অনলাইন ফর্ম পূরণ করে স্কিমের সুবিধা পেতে পারেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত মহিলারা এই প্রকল্পের দ্বারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।

দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তারা অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন, এছাড়াও এই প্রকল্পের অধীনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সাথে যুক্ত মহিলাদের LED বাল্ব, প্লাম্বিং, ড্রোন মেরামতের মতন প্রযুক্তিগত কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করা হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্পের সুবিধা ও যোগ্যতা

এতে ওই মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, ক্ষমতায়ন এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা হবে। এমনকি বীমা এবং ঋণের সুবিধাও দেওয়া হবে। প্রকল্পের সুবিধা পেতে মহিলাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়াও বাধ্যতামূলক ৷ আবেদন করার সময়ে আধার কার্ড, আয় ও বসবাসের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট সাইজ ছবি প্রভৃতি জমা দিতে হবে।
   

প্রকৃতপক্ষে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে, সরকার চায় মহিলাদের ক্ষুদ্র শিল্প শুরু করতে উৎসাহিত করা হোক, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং ব্যবসায় মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে। এর মাধ্যমে নারীরা স্বাধীন ও ক্ষমতায়িত হতে পারবে।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now
× close ad