News Desk: এনপিএস অর্থাৎ ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম হলো পেনশন ফান্ড রেগুলারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দ্বারা পরিচালিত ভারত সরকারের একটি প্রকল্প। এনপিএস মূলত ইক্যুইটি, সরকারি সিকিউরিটিজ এবং কর্পোরেট বন্ড-সহ অনেক জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করে। চলতি বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে এই এনপিএসের নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে। এনপিএসের অধীনে টাকা তোলার এই নতুন নিয়ম চালু করেছে পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
নতুন নিয়ম কি?
এনপিএসের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১লা ফেব্রয়ারি থেকে কেউ এনপিএস অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ শতাংশের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না বলেই জানিয়েছে পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। এনপিএসের গ্রাহকরা বিনিয়োগের সময় তিনবার কিছু পরিমাণ টাকা তুলতে পারেন, তবে সেই টাকা তুলতে গেলে গ্রাহকদের কমপক্ষে তিন বছরের জন্য সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে।
কোন কোন প্রয়োজনে আংশিক টাকা তোলা যাবে?
সন্তানদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করতেসন্তানদের বিয়ের জন্য, বাড়ি তৈরি, বাড়ি কেনা কিংবা গৃহ ঋণ পরিশোধের জন্য, যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করতে, এছাড়া গুরুতর অসুস্থতার চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে এই টাকা তোলা যেতে পারে। গ্রাহক যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন।
কীভাবে টাকা তুলবেন?
আপনি যদি এনপিএসের অধীনে এই ২৫ শতাংশ বা তার কম পরিমাণ টাকা তুলতে চান, তবে সেন্ট্রাল রেকর্ড কিপিং এজেন্সির প্রতিনিধি সরকারি নোডাল অফিসারের মাধ্যমে এই টাকা তোলার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং সেখানে টাকা তোলার কারণ ও অন্য বিবরণ দিতে হবে। গ্রাহক যদি কোনো কারণে অসুস্থ হন, তার জায়গায় পরিবারের যেকোনো সদস্য বা মনোনীত ব্যক্তি টাকা তোলার আবেদন করতে পারবেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়?
পেনশন রেগুলেটরি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, গ্রাহকের যখন ৬০ বছর বয়স হয়, তখন এনপিএস থেকে মোট ম্যাচিওরিটির ৬০ শতাংশ টাকা তোলার অনুমতি দেয় এবং সেই টাকা নিলে কোনোরকম কর দিতে হয় না। বাকি যে ৪০ শতাংশ টাকা, তা মেয়াদপূর্তিতে একটি বার্ষিক পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করতে হয়, যেখান থেকে পেনশন পাওয়া যায়। বছরে প্রাপ্ত পেনশনের পরিমাণের ওপরে কোনোরকম কর ছাড় দেওয়া হয় না।