News Desk : কয়েক হাজার পড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রি এবং পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের জন্য অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করেছিল, কিন্তু পোর্টালে ফর্ম পূরণ করার সময় লেখা নামের বানানের সঙ্গে নথিতে থাকা নামের বানান মিলছে না পড়ুয়াদের। এরফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। প্রায় ২৮ হাজার মেধাবী পড়ুয়ার বৃত্তির টাকা আটকে রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী ঘটেছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গেছে যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে মোট ৭৪ হাজার প্রি এবং পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের আবেদন জমা পড়েছিল। তাদের মধ্যে টাকা পেয়ে গেছেন ৪৬ হাজার পড়ুয়া, কিন্তু বাকিরা এখনো পর্যন্ত টাকা পাননি। পোর্টালের গেটওয়েতেই তাদের টাকা আটকে রয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, নথিতে থাকা আবেদনকারীদের নামের বানানের সঙ্গে পোর্টালের বানান মিলছে না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে জন্মের তারিখেও গরমিল রয়েছে। সরকারের তরফে নথি ভেরিফিকেশন নিয়ে যথেষ্ট কড়াকড়ি রয়েছে। তাই ভেরিফিকেশন পর্যায়ে গিয়ে আটকে যাচ্ছে আবেদন।
আধিকারিকরা কি জানিয়েছে?
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই ছোটোখাটো ভুল দেখলে প্রশাসনিক স্তর থেকে তারা নিজেরাই তা সংশোধন করে ছেড়ে দিচ্ছেন, কিন্তু বহু ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়েতে গিয়ে টাকা আটকে যাচ্ছে। শুধু নামের বানান কিংবা জন্ম তারিখ সংক্রান্ত ভুলই নয়, আধার কার্ডের সমস্যার কারণে টাকা আটকে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়।
ভুল সংশোধন করে টাকা পাঠাতে লাগবে সময়
প্রশাসনিক তরফ থেকে যে সমস্ত পড়ুয়ার ক্ষেত্রে এমন সমস্যা হয়েছে, তাদের ফের ত্রুটি সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লকগুলিতে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বের করে সমস্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের দাবি, তারা বহু ক্ষেত্রেই যৎসামান্য ভুল চোখে পড়লে তা ভেরিফাই করে ছেড়ে দিচ্ছিলেন, তবে কেন্দ্রের তৈরি নয়া পোর্টালে সেই সংক্রান্ত যা কড়াকড়ি রয়েছে, তাতে তারা বেশিরভাগ ভুলের ক্ষেত্রেই কিছু করে উঠতে পারছেন না। সূত্র অনুযায়ী, এখনো পুরো পদ্ধতি শেষ করে টাকা পাঠানোর জন্য কিছু সময় রয়েছে, তবে সমস্ত ত্রুটি সংশোধন করার পর টাকা পাঠাতে যথেষ্ট সময় লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।