Success Story :পরপর চারবার ব্যর্থ হয়ে পঞ্চম প্রচেষ্টায় সেরা তিনে! জেনে নিন উমা হারাথি এনের সাফল্যের গল্প

Published On:

News Desk : ইউপিএসসি (UPSC) হলো সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষা। আমরা সবাই জানি যে, ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সহজ বিষয় নয়, তবে অনেক শিক্ষার্থী তাদের কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক কৌশল অবলম্বন করে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। আর যেসকল লক্ষাধিক শিক্ষার্থী আবেদন করেন, তাদের মধ্যে গুটিকতক পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় পাস করতে সক্ষম হন। অনেকেই বারংবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেন, তবে যদি আপনার মনে জেদ, পরিশ্রম করার ইচ্ছে, চেষ্টা থাকে, তাহলে আপনি সহজেই এই পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া যায় (Success Story)।

পঞ্চম প্রচেষ্টায় সফল

আজ এমনই একজনের সম্পর্কে বলতে চলেছি, যিনি ২০২২ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় স্থানাধিকারী। আমরা কথা বলছি তেলাঙ্গানার বাসিন্দা উমা হারাথি এন (Uma Harathi N) সম্পর্কে। বহুবার ব্যর্থতার পর নিজের প্রচেষ্টায় তিনি পেয়েছেন  সাফল্য। তিনি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন ধৈর্য আর চেষ্টা থাকলে এই কঠিনতম পরীক্ষায় সফলতা পাওয়া যায়। উমা তার পঞ্চম প্রচেষ্টায় কঠিন ইউপিএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান পেয়ে উত্তীর্ণ হন  (success in exam)।  আসুন জেনে নেওয়া যাক উমার সাফল্যের গল্প (Success Story)।

উমা হারাথি এনের শিক্ষা

হায়দরাবাদের ভারতীয় বিদ্যা ভবন থেকে পাঠ শেষ করে ইন্টারমিডিয়েট পড়েন ব্রিজ কলেজে। এরপর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান IIT। এর পাশাপাশি তিনি সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতিও নিতে থাকেন। বারংবার পরীক্ষায় বসে ব্যর্থ হন। মোট পাঁচ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রথম চার বার ব্যর্থ হলেও সাহস হারাননি। পঞ্চম বারের পরীক্ষায় হয়েছেন সফল। সফলদের তালিকায় তাঁর নাম আসে তাও আবার প্রথম দিকে।

তৃতীয় স্থান অধিকারী

২০২২ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় মোট ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, যার মধ্যে ৬১৩ জন পুরুষ এবং ৩২০ জন মহিলা। শীর্ষ তলিকায় থাকা ২৫ জনের মধ্যে ১৪ জন মহিলা এবং ১১ জন পুরুষ। প্রথম চারটি স্থান মেয়েদের দখলে, যার মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকারী হয়েছিলেন উমা। আর চারবার ব্যর্থতার পরেও উমার এই সাফল্যে আজ ত তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন সকলেই গর্বিত।

উমা কী বলেন?

উমা বলেন, “ফেল তো হতেই পারে। ফেল করা ভাল। ফেল করায় কোনো ভুল নেই। আমিও অনেক বার ব্যর্থ হয়েছি। শুধু নিজের উপর বিশ্বাস হারালো চলবে না।” এই সাফল্যের জন্য পরিবার এবং বন্ধুদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী উমা। তার মতে, “কোনো ছকে বাঁধা সূত্র নেই সাফল্যের। অধ্যবসায়ই সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি। অতিরিক্ত পড়াশোনা করে লাভ নেই, তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই পড়তে হবে।” জীবনসংগ্রামে হেরে গিয়ে যারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, তাদেরকে উমার এই কথাগুলি অনুপ্রেরণা জোগাবে।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now
× close ad