Agriculture Subsidy: ভারত হলো কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের দরিদ্র কৃষকরা রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসম্ভব খাটুনি করে ফসল উৎপন্ন করেন। অনেক সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদের উৎপন্ন করা ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আর এই কারণে তাদের বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে, এবার আর কোনো চিন্তা নেই, কারণ, কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভর্তুকি প্রকল্প (Agriculture Subsidy) চালু করছে। এই ভর্তুকি প্রকল্প মূলত সেই সমস্ত কৃষকদের দেওয়া হবে, যাদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষকদের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা
কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কৃষি ব্যবস্থাকে উন্নত করার উদ্দেশ্যে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সকল কৃষকদের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। আর সেই প্রকল্প অনুযায়ী, কৃষকরা নির্দিষ্ট টাকার ভর্তুকি পাবেন। এই প্রকল্পের (Agriculture Subsidy) অধীনে যে সকল কৃষকরা নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চান, তাদেরকে কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের তরফ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে এবং এর উপরে থাকবে ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি।
আরো পড়ুন:- কেলেঙ্কারি কাণ্ড! পশ্চিমবঙ্গ ফুড SI পরীক্ষা শুরুর আগেই ফাঁস হলো উত্তর সহ প্রশ্ন, জানুন বিস্তারিত
কৃষিকাজে হবে আরো উন্নতি
এই অর্থের মাধ্যমে কৃষকরা ট্রাক্টর, হারভেস্টার পাওয়ার টিলার, বীজ বপন যন্ত্র ইত্যাদি কিনে এর মাধ্যমে কৃষিকাজকে আরো উন্নত করে তুলতে পারবেন। ২২৮টি কাস্টমার হায়ারিং সেন্টার বর্তমানে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই কীটনাশক ছড়ানো থেকে শুরু করে মেশিন দিয়ে চারা গাছ রোপন, ধান বা গম ছাড়ানো ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে থাকে। কৃষকের এই সেন্টার থেকে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, সোলার পাম্প, মিনি ডাল, মিল তেল, মিল বীজ, ড্রিল, থ্রিসার্স, স্পেয়ার, কম্বাইন, হারভেস্টার, রোটাবেটার ইত্যাদি ন্যায্য মূল্যে কিংবা ভাড়া দিয়ে নিতে পারেন।
১লা এপ্রিল থেকে চালু হবে প্রকল্পটি
এই সেন্টারগুলি তৈরি করতে আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হত। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, এবার থেকে সরকার নয় বরং কৃষক বা কৃষকদের সংগঠন এই সেন্টার তৈরি করবে। এইজন্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, এই ঋণ সময় মতো শোধ করতে না পারলে কৃষকদের ১৬ লক্ষ টাকা অবধি ভর্তুকিও দেওয়া হবে। চলতি বছরের ১লা এপ্রিল থেকে চালু হতে চলেছে এই প্রকল্পটি।