News Desk : নতুন বছর শুরু হতে না হতে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা হতে শুরু করেছে। সামনে আবার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকপরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, আর সেই নিয়ে আসছে একের পর এক আপডেট। আর এই একের পর এক বদলের মাঝে বদলে ঘটেছে স্বাস্থ্যসাথীর নিয়মে। সরকার এবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহারের নিয়মে কিছুটা বদল এনেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী বদল আনা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নতুন নিয়মে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নয়া নিয়ম
১) স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো দুর্ঘটনায় আহত হয়, তবে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে এবং এর পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নথি জমা দিতে হবে, তবেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবে সেই ব্যক্তি। অতএব দুর্ঘটনায় পীড়িত কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালে আনা যাবে না। আগে সরকারি হাসপাতাল হয়ে, তবেই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা যাবে।
২) যেসব চিকিৎসকদের নাম সরকারি হাসপাতালের পোর্টালে দেওয়া থাকবে, তাদের কাছেই চিকিৎসা করাতে হবে। যদি ওই চিকিৎসক চিকিৎসা না করেন, তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে না।
৩) স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, এখন থেকে সরকারি হাসপাতালের আউটডোর খোলা হবে সকাল ৯টা থেকে।
তৈরি হয়েছে নজরদারি কমিটি
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু হওয়ার পর থেকে এর সুবিধাও ধীরে বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এখন থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচ পাওয়া যাবে এবং এর পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে পেসমেকার, স্টেন্ট ও টাইটেনিয়াম প্লেট কেনা যাবে। আজকাল বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে বেশ পরিমাণে অভিযোগ উঠছে যে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার পরেও হাসপাতালগুলি রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে। তাই একটি নজরদারি কমিটি তৈরি করা হয়েছে, যাতে তদন্ত করে দেখা যায় যে, হাসপাতালগুলি যে টাকা দাবি করে, তাতে কোনোরকম কারচুপি আছে কিনা।