News Desk : প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে বৃত্তি পরীক্ষা হয়। এই বৃত্তি পরীক্ষা হল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য এক ধরনের আর্থিক পুরস্কার। বিভিন্ন মানদন্ডের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এসব মানদন্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শিক্ষার্থীর মেধা, উল্লেখযোগ্য সাফল্য ইত্যাদি। এবার চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যে পড়ুয়া প্রথম স্থান অধিকার করেছে, সে পুরো ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কে কোন স্থানে রয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
কে কোন স্থানে রয়েছে ?
চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে হাওড়ার ডি. খিলা নারকেলবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া আঢ্য মালিক, যে ৪০০ নম্বরের মধ্যে ৪০০ নম্বর পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের বাড়বাহারপোতা পল্লিপ্রাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুদীপ্তা খান, যে ৪০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৩৯৯ নম্বর। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কণ্ঠিবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইতিকা মাইতি, যে ৪০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৩৯৮ নম্বর।
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে কী জানা গেলো ?
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম ১১ জনের মধ্যে সাতজনই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া। এবার রাজ্যে ২৩টি জেলায় ২,২০০ কেন্দ্রে মোট ১,৫৯,২০৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। পাশের হার ছিল ৭৬.৪৬ শতাংশ। প্রথম ডিভিশনে ৩০.৩৬ শতাংশ পড়ুয়া এবং দ্বিতীয় ডিভিশনে ২২.৮৪ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে আরো জানানো হয়েছে যে, স্থানীয় ভাষায় পাশের হার ৯১.৪৮ শতাংশ, অঙ্কে পাশের হার ৭৯.৯১ শতাংশ, সোশ্যাল সায়েন্সে পাশের হার ৯৪.৫৭ শতাংশ, বিজ্ঞানে পাশের হার ৯৪.৩৯ শতাংশ, ইংরেজিতে পাশের হার ৯৩.৫৭ শতাংশ।
পড়ুয়াকে বৃত্তি হিসেবে কত টাকা দেওয়া হবে ?
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১৭ই মার্চ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরোজিও হলে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এবার মোট ৮০০ জন পড়ুয়াকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। তাদের মধ্যে ১৫০ জনকে রাজ্য স্কলারশিপ দেওয়া হবে ১,২০০ টাকা এবং বাকিদের জেলা স্কলারশিপ দেওয়া হবে ৬০০ টাকা।